সারাদিন সতেজ থাকতে দরকার যেসব খাবার

food+3_67454মানুষকে সারাদিনই কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এই ব্যস্ততার মাঝেও তাদের সময় করে ঘুমাতে হয়। কথায় আছে, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। কাজেই স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ঘুমের পাশাপাশি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সচেতন থাকাও জরুরী। এমন কিছু খাবার আছে যা নিয়মিত খেলে সারাদিন সতেজ থাকা যায়। একইসাথে শরীরকে চনমনে রাখতেও সাহায্য করে এই খাবারগুলো। নিচে তেমনই কয়েকটি খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো :

কিসমিস : কিসমিস সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে পানিসহ খেয়ে নিন। এগুলো সারাদিন আপনার শরীরে শক্তি সঞ্চয় করবে। ফলে আপনিও থাকবেন সতেজ।

ডাল : সারাদিন সতেজ রাখতে ডালও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন সকালে নাস্তার সময় অর্ধ সিদ্ধ ডাল খেলে এটা শরীরে শক্তি সঞ্চয় করে। এতে করে মানুষের কাজের স্পৃহা বেড়ে যায়। তাছাড়া দুপুরের খাবারের সঙ্গেও এটি খাওয়া যেতে পারে।

ডিম : শক্তি সঞ্চয়ের জন্য খাবার হিসেবে ডিম সবচেয়ে কার্যকরী খাবার। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় বা দুপুরের খাবারের সঙ্গে ডিম খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরের শক্তি সঞ্চয় করে শরীরকে রাখবে সতেজ ও কর্মউদ্যোম।

আঁশযুক্ত খাবার : সারাদিন সতেজ রাখতে আঁশ জাতীয় খাবার যেমন সয়াবিন, কর্ণ, শিম, অ্যাভোকাডো, বাদামী চাল, গমের রুটি, ব্রকোলি, কমলালেবু এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি খেতে পারেন। এগুলো আপনার শরীরের জন্য খুব উপকারী।

সবুজ চা : ক্লান্তি দূর করার জন্য অনেকেই গরম কিছু পান করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে দুধ চা থেকে সবুজ চা পান করা বেশি উপকারী।

পানি : শরীরকে সারাদিন সতেজ রাখতে পানি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। শরীরের যে কোনো সমস্যা সমাধানেও পানির কোনো বিকল্প নেই।

লেবু : শরীরের শক্তি সঞ্চয়ে লেবু অত্যন্ত কার্যকর। গ্রীষ্মকালে চিনি, পানি ও পুদিনার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। এ পানীয় শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলুতে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা শরীরে শক্তির চাহিদা পূরণ করে। এটা রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে সারাদিন প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে।

রসুন : প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে একটু রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এ খাবারটি রক্ত পরিষ্কার করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

পেঁয়াজ : প্রতিদিন দুপুরের খাবারে ছোট ৩-৪টি কাঁচা পেয়াজ খেলে শরীর সতেজ থাকে। এটা রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত চর্বি দূর করে।

জিরা : জিরা বীজ সিদ্ধ করে পানি খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি পাচনতন্ত্রের জন্যও ভালো খাদ্য।

চিনি : শরীরকে সতেজ রাখতে আখের চিনি থেকে পাম চিনি বেশি কার্যকরী। কারণ এতে কম পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। তাই সারাদিন সতেজ থাকতে এই খাবারটিও নিয়মিত খান।

স্যুপ : অপারেশনের পর, ঠান্ডা কিংবা শরীরে ব্যাথা থাকলে স্যুপ খেলে তা দ্রুত সেরে যায়। চিকেন স্যুপে থাকা আদা এবং মরিচ দ্রুত এ সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করে।

জাউ : পেট যন্ত্রণায় বা হজমের সমস্যা সমাধানে জাউ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। জাউ চাল, রসুন ও পেঁয়াজের মিশ্রণে তৈরি; যা সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করে থাকে।

অলিভ অয়েল : অলিভ অয়েলের রান্না খেলে শরীরে মেদ জমে না। এটা শরীরের রক্ত প্রবাহকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীর সতেজ থাকে।

মাশরুম : মাশরুমের স্যুপ দুধ চা এবং কফির বিকল্প হিসেবে খাওয়া যায়। এটাও শরীরকে সতেজ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

কলা : কলা শক্তি সঞ্চয়ে কাজ করে। রাতে শোয়ার আগে কলা খেলে তা শরীরে শক্তি জমা করে রাখে। ফলে পরদিনও শরীর সতেজ থাকে।

মধু : মধু শক্তির উৎস। প্রতিদিন গরম লেবুর জুসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে শরীর সতেজ এবং আরও প্রাণবন্ত হয়।

সূত্র: বোল্ডস্কাই ডট কম

Exit mobile version