প্রথমেই নিজেকে সামাল দিন। নিজের আবেগের উপর একটু হলেও নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করুন। আপনি নিজেই যদি ভেঙে পড়েন, তাহলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। বরং নিজের মনকে শান্ত করুন পরিস্থিতি বুঝতে।
পরের পর্বটি হচ্ছে স্বামীর সাথে কথা বলুন। হ্যাঁ, রাগ করে চেঁচামেচি করার অধিকার আপনার অবশ্যই আছে এবং আপনি সেটা করতেও পারেন। কিন্তু সেটা করে আসলে কোনও সমাধান হবে কি? রাগারাগি হবে, মাফ চাওয়া হবে, কিছুদিন পর পরিস্থিতি আবার আগের মত। স্বামীর সঙ্গে আপনাকে ঠাণ্ডা মাথায় কথা বলতে হবে। জানতে হবে তিনি কেন এমন করছেন এবং কী তাঁর উদ্দেশ্য।
তবে কেবল মুখের কথায় ভরসা করে থাকবেন না। কিছু কাজ করতে হবে আপনার নিজেও। যেমন ধরুন, স্বামী কোন ধরণের পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্ত। তিনি কি কেবল দেখছেন? নাকি বাস্তব জীবনেও বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও সঙ্গিনী খুঁজে নিয়েছেন? কিংবা চাইল্ড পর্নেরর প্রতি আসক্তি নেই তো? জেনে রাখুন, এসব কিন্তু আমাদের দেশে আইনের চোখে অপরাধ। পর্নে আসক্ত পুরুষেরা প্রায়ই বহুগামী হয়ে থাকেন। নিজেদের লালসা চরিতার্থ করতে তাঁরা পরকীয়া করা ছাড়াও আরও বেশ কিছু নিষিদ্ধ পন্থা গ্রহণ করেন। স্বামীর পর্নে আসক্ত- নিশ্চিত হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকেই। আপনি কি তাঁকে শুধরে নিতে চান, নাকি আপনার পক্ষে এসব মেনে নেওয়া আর সম্ভব নয়- এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কেবল আপনি। তবে হ্যাঁ, সংসার ভাঙার আগে বা কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁকে সংশোধিত হতে একটি সুযোগ দিন। যেসব পুরুষের পর্নে আসক্তি কেবলই দেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ, তাঁদেরকে সহজেই সংশোধন সম্ভব। তাঁর সদিচ্ছা, আপনার সাপোর্ট এবং কাউন্সিলিং এর সহায়তা নিয়ে এই বিষয়টি থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব।
এসবের মাঝে একটি বিষয়ে কঠিন দৃষ্টি রাখুন। আর সেটা হচ্ছে পর্নোগ্রাফির বিষাক্ত স্পর্শ যেন আপনার সন্তানকে ছুঁতে না পারে। মনে রাখবেন, পর্নোগ্রাফি আসক্ত হওয়া একটি মানসিক সমস্যা। কিন্তু পর্নোগ্রাফির হাত ধরে যে সমস্যাগুলো তৈরি হয় সেগুলি চারিত্রিক। তাই বুঝে-শুনে ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকেই।