বয়স বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকে মানুষের কোনো কিছু মনে রাখার ক্ষমতাও। বয়োসের কারনে এ সময় মানুষের মস্তিস্কও খুব কম কাজ করে। এছাড়াও মানুষের আরও অনেক সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময় আবার ছোট বাচ্চাদের স্মৃতি সমস্যা দেখা যায়। আর স্মৃতি শাক্তি মানুষের জন্য কতোটা প্রয়োজন এটা নিয়ে মনে হয় নতুন করে আর কিছু বলার নেই। তবে আনন্দের কথা হচ্ছে এমন কিছু খাবার ও ফল আছে যা খেয়েও আমরা আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়াতে পারি। চলুন জেনে নেই সে সকল খাবার সম্পর্কে।
জাম:
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন জাম,লিচু,স্ট্রবেরি,কালোজাম বা আঙ্গুরের মত ফল। ফলগুলোতে রয়েছে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা ব্রেইনের কোষের অক্সিডেশন এবং ক্রমাগত ক্ষয়ে যাওয়া রোধ করে। অর্থাৎ ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ব্লু বেরীকে ব্রেইনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর খাবার বলে ধরা হয়, কেননা তা আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধে সহযোগিতা করে ও শেখার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
পাতা কপি ও পালং শাক:
পালং শাক ও পাতা কপিতে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন কে এবং বিটা ক্যারোটিন থাকে। যা পেশী শক্তি ও স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়োমিত পাতা কপি বা পালং শাক খান তাদের স্মৃতি শক্তি যারা খায় না তাদের চেয়ে অনেক বেশি।
সামুদ্রিক মাছ:
সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকে যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কে থাকা ফ্যাটি এসিডের ৪০% হচ্ছে ডি এইচ এ, যা সামুদ্রিক মাছের তেলে পাওয়া যায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড হিসেবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ব্রেনের বিভিন্ন কোষের মধ্যে সংবেদন আদান-প্রদান বাড়িয়ে দেয়।
বাদাম এবং বীজ দানা:
বাদাম এবং বীজ দানা জাতীয় খাবারে রয়েছে ভিটামিন ই, ও একটি এন্টি-অক্সিডেন্ট এর উৎস। বাদাম এবং বীজ দানার এ উপাদান সমূহ স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া আমন্ড বাদামও ব্রেনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
কফি:
প্রতিদিন সকালে এক কফি পান করুণ। কারণ দীর্ঘদিন কফি পান করেন এমন ১৪০০ লোকের উপর চালানো গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা দিনে তিন থেকে পাঁচ কাপ কফি পান করেন তাঁদের স্মৃতি ভ্রংশের রোগ অনেকটাই কম হয়। এদের তুলনায় যারা দিনে দুই কাপ কফি পান করেন তাদের ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সে আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি। ধারণা করা হয়,কফিতে থাকা ক্যাফেইন ও এন্টি-অক্সিডেন্ট ব্রেইনের কোষগুলোকে সুরক্ষিত করে।
বিট এবং ব্রোকলি:
বিট এবং ব্রোকলিও হতে পারে আপনার স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির আরেকটি হাতিয়ার। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ‘ভিটামিন কে’, যা মেধা ও স্মৃতি বর্ধক।