পেটে মেদ জমা কম-বেশি সবারই সমস্যা। এর কারণে আপনাকে দেখতে খারাপ লাগতে পারে, আপনার পছন্দের পোশাক আপনার জন্য আঁটসাঁট হয়ে যেতে পারে। এমনকি হতে পারে শারীরিক সমস্যাও। মেদ কীভাবে কমাবেন তা নিয়ে তো অনেক লেখালেখি হয়। কিন্তু কেন এই মেদ আপনার পেটে জমে তা জানেন তো ?
শুধু বেশি খাবার খাওয়ার জন্যই কিন্তু পেটে মেদ জমে না। এমন অনেক বদঅভ্যাস আছে যার কারণে আপনার পেটে মেদ জমে। পেটে কেন মেদ জমে এখানে কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো।
১। অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া
পেটে মেদ জমার অন্যতম কারণ হচ্ছে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার। যদি স্লিম পেট চান তাহলে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিন। বাদ না দিতে পারলে এসব খাওয়া কমিয়ে দিন। যেমন সপ্তাহে ২/৩ বার।
২। অপরিমিত ঘুম
ঘুম মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি রাতে অপরিমিত ঘুমান তাহলে কিন্তু পেটে মেদ জমতে পারে। এজন্য প্রতি রাতে অন্তত টানা ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।
৩। প্রতিদিন সোডা/সফট ড্রিঙ্কস/অ্যালকোহল সমৃদ্ধ পানীয় পান করা
সফট ড্রিঙ্কস খেতে আপনার চাই চাই-ই। এসব ছাড়া আপনার দিনই চলে না? অথবা বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের প্রতি রয়েছে আসক্তি? তাহলে কখনো স্লিম পেট পাবেন না। এসব না ছাড়লে পেটে মেদ জমতেই থাকবে।
৪। লো-ফ্যাটজাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া
লো-ফ্যাটজাতীয় খাবার বেশি খেলে শরীরের আকার কন্ট্রোলে থাকবে ভেবে যদি সারাদিন এ জাতীয় খাবারই খেতে থাকেন তাহলেও কিন্তু পেটে মেদ জমবে। লো-ফ্যাটজাতীয় খাদ্যে ফ্যাটের পরিমাণ কমানোর জন্য সুগারের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকে, যা মেদ জমাতে ওস্তাদ। তাই সাবধান লো-ফ্যাটজাতীয় খাবার থেকেও দূরে থাকতে হবে।
৫। পরিমিত পানি পান না করা
পরিমিত পানি পান না করলেও এই সমস্যায় পরতে পারেন। কেননা আপনি যত বেশি পানি খাবেন আপনার পেট তত কম খালি থাকবে। এর ফলে আপনি খেতেও পারবেন কম। তাই খাবার খাওয়ার আগে ১ গ্লাস পানি অবশ্যই খেয়ে নিবেন এবং দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করবেন।
৬। মানসিক চাপ/চিন্তা/কষ্টে থাকা অবস্থায় অনেক খেয়ে ফেলা
খাবার, বিশেষ করে সুস্বাদু খাবার কিন্তু মানসিক কষ্ট ও চাপ কমিয়ে দিতে পারে। এটি অনেকের ক্ষেত্রেই সত্যি। যাদের জন্য এটি সত্যি তারা কিন্তু কষ্টকে ভুলে যেতে বিরিয়ানি বা বড় এক বাটি আইসক্রিম হাতে নিয়ে খেতে বসবেন না। তাহলে পরে আয়নার সামনে দাড়িয়ে পেটে মেদ জমতে দেখে আরো মন খারাপ হতে পারে কিন্তু।
৭। রাতে দেরি করে খাওয়া
রাতে খেতে আপনার যত বেশি দেরি হবে ততই মেদ জমার আশঙ্কা বেড়ে যাবে। তাই রাত ৯ টার আগে খেয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন ও রাতে হাল্কা খাবার খাবেন।
৮। খাওয়ার সময় বড় আকারের প্লেট বেছে নেয়া
আপনার প্লেটের আকার যত বড় হবে আপনি খাবেনও তত বেশি। ছোট আকারের প্লেট নিলে বারবার তাতে খাবার তুলতে আপনার কষ্ট হবে, তাই ধীরে ধীরে আপনার খাওয়ার পরিমাণও কমে যাবে। তাই খাওয়ার আগে ছোট প্লেট নিয়ে নিন।
এসবের সাথে সাথে আপনি যদি ব্যায়াম না করে থাকেন, অগোছালো হয়ে থাকেন, প্রোটিনজাতীয় খাবার কম খেয়ে থাকেন তাহলেও পেটে মেদ জমতে পারে। এই বদঅভ্যাসগুলোকে মুক্তি দিলে মেদও আপনার পেটকে মুক্তি দেবে।