জেনে নিন বেবি অয়েলের ভিন্ন কিছু ব্যবহার

বেবি অয়েল মূলত বাচ্চাদের জন্যই তৈরি করা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এতে খারাপ কেমিক্যাল না থাকায় এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ারও সম্ভবনা কম থাকে। একইসঙ্গে এতে নানা ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে যা বাচ্চাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। বেবি অয়েল যে শুধু বাচ্চারাই ব্যবহার করে এমনটি নয়। আরও নানা কাজে ব্যবহার করা যায় এই বেবি অয়েল।

জেনে নিন বেবি অয়েলের ভিন্ন কিছু ব্যবহার-

মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার করতে
মেকআপ ব্রাশগুলোতে সহজেই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে। তাই এগুলো কিছুদিন পর পর পরিষ্কার করা দরকার। এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন বেবি অয়েল। কারণ এই অয়েল দিয়ে খুব সহজেই ব্রাশ পরিষ্কার করা যায়। এজন্য প্রথমে একটি পাত্রে সামান্য পরিমাণে বেবি অয়েল নিয়ে ব্রাশের চারপাশে লাগিয়ে নিন। এরপর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে শুকাতে দিন। দেখবেন সুন্দর পরিষ্কার হয়েছে।

মেকআপ তুলতে
বাইরে থেকে এসে মেকআপ তুলতে ব্যবহার করতে পারেন বেবি অয়েল। তুলোর টুকরোয় সামান্য বেবি অয়েল নিয়ে ত্বকে ম্যাসেজ করে অল্প আয়াসেই মেকআপ উঠে যায়। তখন ত্বকও অনেক সুন্দর থাকে।

ত্বকের ময়শ্চারাইজার বাড়াতে
ত্বকের ময়শ্চারাইজার বাড়াতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন বেবি অয়েল। এছাড়া পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে সামান্য বেবি অয়েল ম্যাসেজ করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।

নখের যত্নে
যাদের নখ সহজেই ভেঙ্গে যায় তারা বেবি অয়েল ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। হাত ও পায়ের নখে সামান্য বেবি অয়েল নিয়ে ম্যাসেজ করুন। নিয়মিত ম্যাসেজে দেখবেন নখ ভাঙ্গা সহজেই রোধ হবে।

পায়ের যত্নে
বেবি অয়েল পায়ের লোম পরিষ্কারে ভালো কাজ করে। এটি শেভিং ক্রিম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এটি নিয়মিত ব্যবহারে পা হয়ে ওঠে আরও মসৃণ।

স্ক্রাবার হিসেবে
বেবি অয়েলের সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন। গোসলের আগে, হাত, পা, মুখ ও ঠোঁটে এই স্ক্রাব দিয়ে ম্যাসেজ করুন। এতে দেহের মৃত কোষগুলো পরিষ্কার হবে। সেইসঙ্গে ত্বক হয়ে উঠবে আরও উজ্জ্বল।

চুলের যত্নে
শুষ্ক চুলের যত্নে বেবি অয়েলের বিকল্প নেই। হাতে সামান্য বেবি অয়েল নিয়ে চুলে আলতো করে লাগিয়ে নিন। দেখবেন চুল নরম ও উজ্জ্বল হবে।

চুলের জেল হিসেবে
সাধারণত পুরুষরা চুলে জেল ব্যবহার করে থাকেন। অনেক সময় জেল ব্যবহারে চুলের অনেক ক্ষতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে চুলের যত্নে বেবি অয়েলকেই বেছে নিন।

অস্থায়ী ট্যাটু পরিষ্কার
আজকাল অনেকেই দেহের বিভিন্ন অংশে অস্থায়ী ট্যাটু করে থাকেন। এই ট্যাটুর রঙ পরিষ্কার করতে বেবি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

জুয়েলারি পরিষ্কারে
বেবি অয়েল দিয়ে যে কোন জুয়েলারি ভালোভাবে পরিষ্কার করা যায়। এক টুকরো তুলোয় সামান্য বেবি অয়েল লাগিয়ে ধীরে ধীরে পরিষ্কার করুন। দেখবেন জুয়েলারিগুলো কেমন ঝকঝকে দেখাচ্ছে।

লেদারের চাকচিক্য বাড়াতে
লেদারের যে কোন জিনিস ব্যাগ, জুতো, জ্যাকেট ইত্যাদি চকচিক্য বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন বেবি অয়েল। এজন্য একটি তুলোর টুকরোতে বেবি অয়েল মিশিয়ে লেদারের জিনিসে হালকা ম্যাসেজ করে নিন। এতে চাকচিক্য অনেকটাই বেড়ে যাবে।

তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট

Scroll to Top