সুন্দর ও মসৃণ ত্বক সবাই চায়। আর আমাদের দেশে শীতের শেষে ত্বক যখন শুষ্ক ও মলিন হয়ে পড়ে তখন নিজেকে আর ভালো লাগে না। কোনো কাজে ঠিক মতো মনও বসতে চায় না। ঝরঝরে মসৃণ ত্বক যেমন নিজেকে সুন্দর করে তোলে ঠিক তেমনি কর্মজীবনেও ফিরে পাওয়া যায় উদ্যম। তাই শুষ্ক ত্বকের যত্ন কীভাবে নেবেন, তা নিয়ে এবারের আয়োজন।
এই সময়ে ত্বকের থেকে ময়েশ্চরাইজার কমে গেলেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই প্রয়োজন বাড়তি যত্নের। আপনি চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে পারেন। প্রোটিনের পাশাপাশি সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারেন। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন—ভাত, রুটি কমিয়ে দিলে দেহ, মন ও ত্বকের সতেজ ভাব এনে দিবে। সকালে একটা রুটির ভাঁজে দিতে পারেন নানা পদের সবজি সিদ্ধ, শুধু একটু লবণ আর গোল মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে। দুপুরে ভাত, রুটির পরিমাণ কমিয়ে টেবিলে নানা পদের সালাদ, শাক, সবজি ও সঙ্গে ১-২ টুকরা মাছ বা মাংস খেলে দেহ-মন সতেজ থাকে। সন্ধ্যায় এই শীতে আমরা স্যুপ, দুধ, একটু মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার দিয়ে সেরে ফেলতে পারেন আপনার ডিনার। টক জাতীয় ফল যেমন জলপাই, কামরাঙা, জাম্বুরা, কমলা, বড়ই ভিটামিন সি-এর ঘাটতি মিটায়, সঙ্গে মুখে এনে দেবে রুচি। দাঁত ও মাড়ির সুস্থতা, ত্বক, চোখ, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ফল ও সবজির তুলনা নেই।
ধূলাবালির হাত থেকে রেহাই পেতে আপনাকে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বাইরে বের হলে চুলে স্কার্ফ পরতে পারেন। চুলে প্রতিদিন ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললে ধূলাবালির হাত থেকে চুলকে রক্ষা করা যায়, খুসকি জনিত ঝামেলা আর থাকবে না। প্রতিদিন অন্তত ১-২ বার ভালো করে চুল আঁচড়িয়ে ফেলতে হবে। ১৫ দিনে একদিন আমরা চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করতে পারেন। শীতে প্রতিদিন গোসল করলে শরীর, মন ভালো থাকে, ধূলাবালি থাকে না। গোসলের পরে আর রাতে ঘুমানোর আগে আমরা ময়েশ্চার জাতীয় লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়ার । ঘুমানোর আগে গ্লিসারিনের সাথে পানি বা গোলাপজল মিশিয়ে লাগালে এই ফেটে যাওয়া গোড়ালি ফিরে পাবে মসৃণতা। ঘরে বসে সেরে নেওয়া যায় মেনিকিউর বা পেডিকিউর। পেট্রোলিয়াম জেলী ব্যবহারে ঠোঁট, হাত, পা, ত্বক মসৃণ থাকে।
সেইসাথে আপনাকে সব সময় মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। প্রতিদিন গোসল করুন। যথা সম্ভব হাঁটুন, সকালের মিষ্টি রোদে খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসে ঘুরবেন। এতে আপনার মন, ত্বক, শরীর ঝরঝরা হয়ে উঠবে।
