শেখ হাসিনা – শুধু একটি নাম নয়। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। দেশকে নিয়ে গর্ব করার এক অবিচল আস্থার প্রতীক। আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রপথিক। বাংলাদেশের সার্থক প্রধানমন্ত্রী। একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। গণতন্ত্রের মানসকন্যা। জননেত্রী। দেশরত্ন। যার গতিশীল নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে, জাতি বিশ্ব-দরবারে দাঁড়াচ্ছে মাথা উঁচু করে। যিনি পরিবর্তনের অগ্রদূত, উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার কারিগর।
শেখ হাসিনা বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্নসারথি। বিশ্ব মানবতার আলোকবর্তিকা। মানবিকতার জননী এই বিশ্বরত্ন বাঙালির আশা-ভরসার শেষ ঠিকানা। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনের মাধ্যমে শান্তির দূত হিসেবে তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। দেশের মাটি ও মানুষের গর্বের ধন তিনি। দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ এ নেত্রী মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে হয়েছেন প্রশংসিত। বাঙালি জাতির আলোর এই দিশারী বাংলাদেশকে নিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। তাঁর মতো নেতৃত্ব বাংলাদেশে অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়।
শেখ হাসিনাকে বলা হয়- মাদার অব হিউম্যানিটি, মাদার অব এডুকেশন, প্রাচ্যের উজ্জ্বল তারকা, নারী অধিকারের স্তম্ভ, উন্নয়নের কবি, জোয়ান অফ আর্ক, সমুদ্র জয়ী, সীমানা জয়ী, বিশ্ব মানবতার বিবেক। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতির যোগ্য উত্তরসূরি তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান। দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের অতি আদরের নাতনি। শৈশব-কৈশোর কেটেছে যার টুঙ্গিপাড়ায়। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া ছোট্ট মেয়েটিই আজ সারা বিশ্বের অন্যতম বিস্ময়।
স্বপ্নদর্শী এই নেতা ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি এমন এক ক্লান্তিহীন কাণ্ডারি যিনি বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বাসের নির্ভরযোগ্য শেষ আশ্রয়স্থল। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেন। শত বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূলতা, মানুষসৃষ্ট দুর্যোগ, বার বার প্রাণনাশের চেষ্টার সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ১৯৯৬ সালে প্রথম, ২০০৮ সালে দ্বিতীয়, ২০১৪ সালে তৃতীয় এবং ২০১৮ সালে চতুর্থ বারের মতো নির্বাচনে জয়লাভ করে দলকে দেশের নেতৃত্বের আসনে বসাতে সক্ষম হয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা নারী সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার আপোষহীন ও দুর্দান্ত নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ পরিচিত হয়েছে একটি রোল মডেল হিসেবে। বঙ্গবন্ধুকন্যার সঠিক নেতৃত্ব ও সময়োচিত পদক্ষেপে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে উন্নয়নের মহাসড়কে। শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের কাজ জাতি চোখে দেখতো না। শেখ হাসিনার অতুলনীয় কর্মই তাকে অপ্রতিদ্বন্ধী দেশপ্রেমী সংগ্রামী নেত্রীতে পরিণত করেছে। তাঁর রয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সাহসিকতা।
বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্জনের এমন রোল মডেল যার অর্জন নজিরবিহীন। তার একান্ত ইচ্ছায় দক্ষিণ অঞ্চলের কোটি মানুষের প্রাণের দাবি পদ্মাসেতু তৈরি হয়েছে। খাদ্যে স্বনির্ভরতা, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, আইসিটি এবং এসএমই খাতে এসেছে ব্যাপক সাফল্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতিসহ জাতীয় জীবনের বহুক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। দেশে ও দেশের বাইরে ভিশনারি লিডার হিসেবে শেখ হাসিনার সাফল্য ঈর্ষনীয়।
শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। পরে ঢাকা শহরে টিকাটুলির নারী শিক্ষা মন্দিরে ভর্তি হন; যেটি শেরেবাংলা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে খ্যাত। তিনি ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ওই বছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
শেখ হাসিনা ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজে পড়ার সময় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন এবং ৬-দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সাথে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দী অবস্থায় তার প্রথম সন্তান ‘জয়’-এর মা হন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর কন্যা সন্তান পুতুলের জন্ম হয়।
১৯৭৫ সালে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ ইউরোপে অবস্থানকালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হবার খবর পান শেখ হাসিনা। তিনি ইউরোপ ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ ৬ বছর প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তাকে কয়েকবার গৃহবন্দী করা হয় ও কারা অন্তরীণ রাখা হয়। তিনি ১৯৯০ সালের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হলেও তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান।
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া আধুনিক বাংলাদেশের অনন্য এই স্থপতির রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও কূটনৈতিক দক্ষতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সুনাম বাড়িয়েছে। চলমান উন্নয়নের ধারা বয়ে এনেছে গৌরব ও সাফল্য। তার দক্ষতা ও বিচক্ষণতাই তাকে এখন বিশ্বমানের নেতার পর্যায়ে স্থান দিয়েছে। শিল্প সংস্কৃতি ও সাহিত্যের জন্য অন্তপ্রাণ শেখ হাসিনার লেখা ও সম্পাদিত অনেক গ্রন্থই পাঠকপ্রিয় হয়েছে। বহুমুখী প্রতিভাবান এমন একজন বিরল ব্যক্তিত্ব আছেন বলেই বাংলাদেশিরা গর্বিত। একজন শেখ হাসিনা থাকা মানে একটি জাতির স্বপ্নপূরণে এগিয়ে যাবার সাহস থাকা, যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আলোর পথযাত্রার শক্তি থাকা।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় শেখ হাসিনা বিশ্ব রাজনীতিতেও অনুকরণীয় নেতৃত্ব। যার যাদুকরী নেতৃত্বে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা, শান্তিচুক্তি, যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, সমুদ্র বিজয়, নিজস্ব স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মহাকাশ বিজয়, নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক উন্নতি, স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা সমুজ্জ্বল। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম। তাঁর নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটেছে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি অবদান রেখেছেন আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ গঠনে, পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়নে,শান্তি প্রতিষ্ঠায়, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে, যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্পের স্বপ্ন দেখছে। তাঁর স্বপ্নই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গঠন করা। ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি। এজন্য অগ্রগতি-উন্নয়নের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করছেন, ব্যবসা বাণিজ্যে গতি সঞ্চারের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছেন। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পগুলো চলমান রয়েছে। যোগাযোগ অবকাঠামো, বিদ্যুৎসহ নানা খাতের উন্নয়নের কারণেই বাংলাদেশ আজ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। নানান বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ বাধা-বিপত্তি ও সমস্যা থাকা সত্ত্বেও মেগা প্রকল্পগুলোর স্বপ্ন বাস্তব রূপ পাওয়ায় দেশ স্বনির্ভর হচ্ছে দিনকে দিন, দেশের মাটি ও মানুষও স্বনির্ভর হচ্ছে।
পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট এমআরটি বা মেট্রো রেল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেইন কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ বা বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট বা রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলওয়ে লিংক, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল – ৩, শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, লিগ্যাসি টাওয়ার, বিআরটি-৩ সড়ক চালু, দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেলপথ, মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ সবই আশা জাগানিয়া।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কূটনৈতিক অঙ্গনেও ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে। অর্থনৈতিক কূটনীতিতে সফলতা এসেছে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের সেবার মান উন্নত হয়েছে। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবন মানোন্নয়নের কর্মসূচিও বাস্তবায়ন হচ্ছে। মানবিক দিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের জরুরি আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। সম্প্রতি শেখ হাসিনার জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সম্মান, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আন্তরিক পরিবেশে বৈঠক, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ঢাকায় আগমন—সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের কূটনীতির জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।
বিরোধীদের নানামুখী সুগভীর ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে বিশ্বশান্তি ও প্রগতির যথার্থ রূপরেখা তুলে ধরেছেন, নারীর সমঅধিকার ও স্বাধীনতা নিয়ে বিশ্ব নারী নেতৃত্বের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এর ফলে তিনি শুধু আওয়ামী লীগের নেতা নন; দল–মতের উর্ধ্বে উঠে দেশ-জাতি-ভৌগলিক সীমানা পেরিয়ে বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। তিনি যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারেন, বৈরী পরিবেশও ঠাণ্ডা মাথায় ধৈর্য ধরে যথাযথভাবে নেতৃত্ব দিতে পারেন তা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা চান- গণমানুষের কল্যাণ। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা। দেশবিরোধীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও দেশকে সঠিক পথে পরিচালনা। গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলিত করার সকল প্রয়াস ঠেকিয়ে দেয়া। আর্থসামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখা। জাতিকে আলোর পথে, স্বপ্ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়া। সব অন্ধকার কাটিয়ে ওঠা। তিনি কারো ‘হাসু আপা’, কারো ‘মা’, কারো ‘নেত্রী’, কারো ‘বোন’, কারো ‘হাসিনা দাদু’; তিনি সবার, সব বাংলাদেশির, সব বাঙালির, সব দেশের সব মানুষের।
তিনি মুক্তির এমন বহ্নিশিখা যিনি প্রতিঘাতেও আলোকিত থাকেন, বাঙালির আশার বাতিঘর হিসেবে ভূমিকা রাখেন। দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্বের জন্য দেশ-বিদেশের নামকরা বহু প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়েছেন নানা সম্মাননা। সবচেয়ে বেশি পেয়েছেন সাধারণ মানুষের ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থন। এদেশের মানুষের বিশ্বাস- শেখ হাসিনাই পারবেন সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে, তিনিই হবেন স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় নেতা।
শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। শুভ জন্মদিন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
লেখক: সভাপতি, নিউইয়র্ক সিটি যুবলীগ