এই বছর জানুয়ারির ১ তারিখে পাঠ্যবই দেওয়া যাচ্ছে না।
এই পুরো ব্যাপারটাই হয়েছে এক যুবলীগ নেতার পরিকল্পনাতে। এমনকি ইস্যু সলভ করতে যাওয়া ছাত্রদেরকে শুনলাম এখন হুমকি ধামকি দিতেছে।
অথচ টেন্ডার নেওয়ার সময় এরা প্রমিস করে বরেছিলো, বই দেওয়া হবে। সময় মতোই দেওয়া হবে
পরবর্তীতে এরা ধানাই পানাই শুরু করে। অজুহাত দেয়, আর্ট পেপার নাই। তাই বই ছাপানো সম্ভব না। তবে টাকা বেশি দিলে আবার বই ছাপানো সম্ভব হবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা জিম্মি হওয়ার পর পোলাপাইন যাইয়া আবিষ্কার করে, ঐ প্রেস সিন্ডিকেটের হেড যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। শুধু তাই না, জুলাই বিপ্লবের সময়ও এরা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কাগজপত্র ছাপাইসে।
স্বাভাবিকভাবেই, ছাত্রদের সন্দেহ হয়।
এবং ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে তথ্য নিয়ে জানা যায়, আর্ট পেপার শুধু আছে, তাই না। অনেক পরিমাণ আছে। সবগুলো গুদামে লুকিয়ে রেখে বলা হয়েছে যে আর্ট পেপার নাই। বই ছাপানো হবে না।
তো পোলাপাইন ডিসি, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে কাজগুলো উদ্ধার করে। ডিসির উপস্থিতিতে ওগুলো নিলাম করে বিক্রি করা হয়।
বাট এখনও পর্যন্ত সেই কাগজ ছাপাতে দেওয়া হচ্ছে না।
উল্টো যেসব ছাত্ররা কাগজ উদ্ধার করেছিলো, এদের হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। সিন্ডিকেট ভাঙার কোন চেষ্টা করা হলে ছাত্রদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে।
এখানে দুইটা লাভ।
এক। ৪০ কোটি বইয়ের বিরাট ব্যবসাতে নিজের ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা লাভ তুলে নেওয়া।
দুই। বছরের প্রথম দিন বই না দিতে দিয়ে এই সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করে হাসিনাই ভালো ছিলো টাইপের ধারণা প্রচার করা।
শুনেছি প্রথম দিন বই দিতে না পারার সাথে সাথে আওয়ামীলীগের সমস্ত পেইজ থেকে এক যোগে এই সরকার ব্যর্থ সরকার বলে প্রচার চালানো হবে।
আর এই কাজে হেল্প করবে এনসিটিবির এই সিন্ডিকেট।
কাজ চুপেচাপে সেরেই ফেলেছিলো। ২০০০ মেট্রিক টন কাগজ লুকাইয়া রেখে। বাট ছাত্ররা যাইয়া সেই প্ল্যান বানচাল করে দেওয়ার পর এখন ওরা সেই ছাত্রদের হুমকি ধামকি দিতে শুরু করেছে।
হাসিনার আমলে আওয়ামীলীগ নেতারা আমাদের হুমকি দিতো। আজকেও কোন এক ছাত্রনেতার বাসায় গিয়ে লিখে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহণ কর। বাট স্বাধীন বাংলাদেশে প্রকাশ্যে যুবলীগের আহ্বায়কের হুমকি কোনভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।
সরকারের কাছে অনুরোধ করি, ছাত্রদের নিরাপত্তা দেন। হাসিনার বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের সিন্ডিকেটের হুমকি শোনা লাগতো। এখন আপনাদের বাংলাদেশেও যদি ভালো কাজ করতে যাইয়া যুবলীগের হুমকি শোনা লাগে, কেমনে হবে?
আর আওয়ামীলীগের বানানো সকল সিন্ডিকেটের লাইসেন্স বাতিল করে শাস্তির আওতাতে আনেন।
বই এবার দিতে পারবেন না, এইটা দিনশেষে আপনাদেরই ব্যর্থতা। আওয়ামীলীগের সিন্ডিকেট ভাঙেন। যেন পরেরবার আর এদের হাতে পোলাপাইনের জিম্মি না হতে হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিছেন, কঠোর হন। নিজেরা না পারলে অন্তত যে পোলাপাইন ডিসি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লুকাইয়া রাখা আর্ট পেপার ধরাইয়া দিছে,তাদের নিরাপত্তা দেন।
সুশীলতা করলে হাসিনাকে তাড়ানো যেত না।
একইসাথে, সুশীলতা করে এনসিটিবিতে থাকা হাসিনার প্রেতাত্মাদেরও সরাইতে পারবেন না।
কোনায় কোনায় হাসিনার প্রেতাত্মা রেখে যত ডিগ্রিওয়ালা যোগ্য লোকই বসাক, দেশ চালাইতে পারবেন না।