জার্মানির মুসলমানেরা কেমন আছে

জার্মানির মুসলমানেরা কেমন আছে?

জার্মানি ইউরোপের শিল্পোন্নত দেশগুলোর অন্যতম। সামাজিক শৃঙ্খলা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে দেশটি উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা থাকায় জার্মানিতে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকশিত হয়েছে।

বৃহত্তর জনগোষ্ঠী খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। এখানে ইসলাম দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। ইহুদি, হিন্দু ও শিখ ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা আনুপাতিক হারে কম। মোট আট কোটি ৩২ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৫৫ লাখ মুসলমান, যাদের বেশির ভাগই তুরস্ক থেকে আসা। বিভিন্ন শহরে ২১ লাখ তুর্কি বংশোদ্ভূত মুসলমান বসবাস করে।

জার্মান বংশোদ্ভূত মুসলমানের সংখ্যা দু’লাখের মতো। বার্লিন, কোলন, ফ্রাঙ্কফুর্ট, মিউনিখ, আচেন এবং মুলহেইমে মুসলমানের অবস্থান ৪ থেকে ৫ শতাংশ। অবশ্য সব শহরে এ সংখ্যার অনুপাত সমান নয়। আচেন এলাকায় মুসলমানের সংখ্যা ১০ শতাংশ। বার্লিনের ৩০ লাখ জনগণের মধ্যে পাঁচ লাখ মুসলমান। জার্মানিতে মসজিদ আছে দুই হাজার ৮০০।

তুরস্কের উসমানি খিলাফতের সোনালি যুগে ইসলামের আলোকধারা জার্মানিতে প্রবেশ করে। মুবাল্লিগ, মুজাহিদ, ব্যবসায়ী ও ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে জার্মানির বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলাম বিকশিত হতে থাকে। বৈরী পরিবেশে যাত্রা শুরু হলেও ধীরে ধীরে মুসলমানরা নিজেদের অবস্থান গড়ে নিতে সক্ষম হন।

খ্রিষ্টান অধ্যুষিত জার্মানিতে মসজিদ, পাঠাগার ও ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় মুসলমান ধর্মপ্রচারক ও সমাজহিতৈষীদের অসামান্য অবদান রয়েছে। বহু ধর্মপ্রাণ মুসলমানের প্রাণান্ত প্রয়াসে পুরো জার্মানিতে দু’হাজার মসজিদ গড়ে উঠেছে; এর মধ্যে ৪০০ হচ্ছে বিভিন্ন বৃহৎ আকারের শপিংমল অথবা বাণিজ্যিক কেন্দ্রে প্রার্থনা কক্ষ।

ইতোমধ্যে অনেক ইসলামিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং চারটি বড় আকারের ইসলামী সংস্থা কর্মরত রয়েছে। এগুলো হলো-

১. সুপ্রিম কাউন্সিল অব মুসলিমস ইন জার্মানি;
২. সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব মুসলিম;
৩. ইউনিয়ন অব টার্কিশ মুসলিমস এবং
৪. ইসলামিক ইনস্টিটিউট অব আচেন।

সুপ্রিম কাউন্সিল অব মুসলিমস ইন জার্মানির তত্ত্বাবধানে প্রায় ৮০০ মসজিদ পরিচালিত হয়। আচেন এলাকায় ইসলামিক ইনস্টিটিউটের বহুমাত্রিক তৎপরতার ফলে ইসলাম ক্রমান্বয়ে বিস্তার লাভ করছে।

১৯৬৪ সাল থেকে এই সংস্থা যুবকদেরকে ইসলামের পথে দাওয়াত প্রদান এবং তাদের অনৈতিকতার হাত থেকে রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। প্রতি মাসে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়, যেখানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় এক হাজার ৫০০ মুসলমান অংশ নেন। শিশু ও তরুণদের শিক্ষাদানের পদ্ধতির ওপর সবিশেষ জোর দেয়া হয়।

সুপ্রিম কাউন্সিল অব মুসলিমস ইন জার্মানির তত্ত্বাবধানে প্রায় ৮০০ মসজিদ পরিচালিত হয়

প্রতি শনিবার ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের সমাবেশ ঘটে। ঈমান, আকিদা, আখিরাত, পরকালীন জবাবদিহি, পরিবার, দাম্পত্য জীবন, সমাজসেবা, উন্নত নৈতিক চরিত্র ইত্যাদি বিষয়াবলির ওপর ক্লাস বা বক্তব্য পেশ করা হয়।

আচেন এলাকায় ইসলাম ধর্মের বিকাশে ড. মুহাম্মদ হাওয়ারির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সিরিয়ায় জন্মগ্রহণকারী এ ধর্মপ্রচারক ১৯৫৮ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত বেলজিয়ামে ফার্মেসি ও রসায়নশাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন। ওষুধ প্রস্তুতকরণ শিল্পের ওপর রয়েছে তার পিএইচডি ডিগ্রি। ১৯৬২ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করে জার্মানিতে চলে যান এবং সেখানে ইসলামের খিদমতে নিয়োজিত হন।

জার্মানি ইসলামিক সেন্টারের উপ-পরিচালক এবং কাউন্সিল অব ইসলামিক কো-অপারেশন ইন ইউরোপের উপদেষ্টা হিসেবে ইউরোপের বুকে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় তার নিরন্তর প্রয়াস ইতিহাস হয়ে থাকবে। কাউন্সিলের দু’টি শাখা রয়েছে- একটি ব্রাসেলসে অপরটি স্টাসবার্গে।

ড. হাওয়ারি বেলজিয়ামে অধ্যয়নকালে ব্রাসেলসে ইসলামিক সেন্টার স্থাপন করেন এবং তিনিই ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। মক্কার রাবেতা আল আলম আল ইসলামীর অঙ্গসংগঠন ইসলামিক ফিকাহ কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে তিনি ইউরোপে অবস্থানকারী মুসলমানদের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমস্যাবলি এ ফোরামে তুলে ধরেন।

ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানি আয়তনের দিক দিয়ে ইউরোপের সপ্তম বৃহৎ রাষ্ট্র। সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা আট কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৮৫১ জন। ১৬টি অঙ্গরাজ্য নিয়ে জার্মান ফেডারেল ইউনিয়ন গঠিত।

১৮৭১ সালের আগে জার্মানরা সুসংঘবদ্ধ জাতি ছিল না। তিন লাখ ৫৬ হাজার ৯৭১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের জার্মান রাষ্ট্রের রাজধানী বার্লিন। ‘বন’ পশ্চিম জার্মানির অস্থায়ী রাজধানী। প্রধান ভাষা জার্মান। দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ রোমান ক্যাথলিক অথবা প্রোটেস্ট্যান্ট। দেশজুড়ে রয়েছে পাহাড়, নদী, উপত্যকা ও সমভূমি। কেবল ৩৩ শতাংশ ভূমিতে চাষাবাদ হয়। সাধারণ অর্থনীতিতে কৃষির ভূমিকা গৌন। রয়েছে ৩২ শতাংশ ঘন বনভূমি ।

দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ‘ব্লযাক ফরেস্ট’ নামক বনাঞ্চল বৃক্ষ ও তৃণাচ্ছাদিত। রাইন, এলব ও দানিয়ুব প্রধান নদী। যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনে এসব নদ-নদী অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হামবুর্গ, ব্রেমেরহ্যাভেন ও এমডেন বিখ্যাত সমুদ্রবন্দর। পশ্চিম ইউরোপের বহু নদ-নদীর সাথে জার্মানি সংযুক্ত। রাইন নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ভারী ও মাঝারি ধরনের শিল্প কারখানা।

জার্মানিতে কয়েকজন মুসলিম শিক্ষার্থী

জার্মানি যুগে যুগে বহু কবি, শিল্পী, স্থপতি ও দার্শনিকের জন্ম দিয়েছে। ইউরোপীয় মানুষের চিন্তা-চেতনার সংযোগস্থল জার্মানি। গ্যাটে (Johann Wolfgang von Goethe) জার্মানির বিখ্যাত কবি। ড্যুরার (Albert Durer) ষোড়শ শতাব্দীর খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী। হামবুর্গে প্রস্তুত A321 মডেলের বিমানের সুখ্যাতি বিশ্বজোড়া। ১৯৬১ সালে দুই জার্মানির মধ্যে বিভেদ রেখা হিসেবে গড়ে তোলা হয় বার্লিন প্রাচীর। পূর্ব জার্মানি এ প্রাচীর নির্মাণ করে। অবশ্য ১৯৮৯ সালে এ প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর দুই জার্মানি একীভূত হয়।

জার্মানিতে ইহুদির সংখ্যা স্বল্প। ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত ইহুদিদেরকে সমাজজীবন ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। ১৮৭১ সালে প্রুশিয়া জার্মানির সাথে একীভূত হওয়ার পর ইহুদিদের সমান অধিকার দেয়া হয়। এর পর থেকে ইহুদিরা জার্মান সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে নিজেদের একীভূত করে ফেলে।

নাৎসি পার্টি প্রধান এডলফ হিটলার ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর থাকাকালীন ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করেন বলে কথিত আছে। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বেশির ভাগ ইহুদি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। অনেকে নাৎসি বাহিনীর হাতে নিহত হয়। মাত্র ৪০ হাজার ইহুদি, যাদের মধ্যে বেশির ভাগ বয়োবৃদ্ধ, জার্মানিতে থেকে যায়।

পূর্ব ইউরোপে কমিউনিজমের পতনের পর ইহুদিরা রাশিয়া ও ইউরোপের পূর্বাঞ্চল থেকে বার্লিনসহ জার্মানির বিভিন্ন শহরে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে। ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নের নেত্রী অ্যাঞ্জেলা মারকেল বহু বছর জার্মানির চ্যান্সেলর ছিলেন। তিনি জার্মানির ইতিহাসে প্রথম মহিলা চ্যান্সেলর। জার্মানির পার্লামেন্টে আসন সংখ্যা ৬১৪টি।

মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে আরবি ভাষা, কুরআন, হাদিস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি শিক্ষাদানের সুব্যবস্থা রয়েছে। জার্মানিতে সাধারণত দুপুরে স্কুল ছুটি হয়ে যায় এবং প্রত্যহ বিকেল বেলা ধর্মীয় বিষয়াদির ক্লাস শুরু হয়। সাম্প্রতিক সময়ে সুপ্রিম কাউন্সিল অব মুসলিম বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি পাঠ্যক্রম তৈরি করে। সরকারের ঊর্র্ধ্বতন মহলের সাথে আলাপ-আলোচনা করে মুসলিম কমিউনিটির নেতারা রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত স্কুলসমূহে অধ্যয়নরত মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের ইসলাম ধর্মবিষয়ক শিক্ষা দেয়ার অনুমতি আদায় করতে সক্ষম হন।

ইতোমধ্যে বার্লিন, বন ও মিউনিখে প্রাইভেট ইসলামিক স্কুল গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে কিং ফাহাদ একাডেমি অন্যতম। এসব প্রাইভেট স্কুল পরিচালনা পর্ষদ অথবা ট্রাস্টি বোর্ডের অধীনে পরিচালিত। এসব স্কুলের সরকারি স্বীকৃতি থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান, বেতন-ভাতা দেয়া হয় না।

তিউনিসিয়া, মরক্কো ও তুরস্ক সরকারের সাথে সাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী আরবি ও অন্যান্য ইসলামিক বিষয়াবলি পাঠদানের জন্য নিজ নিজ সরকার শিক্ষক পাঠিয়ে থাকেন। সেভেন-ইলেভেনের ঘটনায় জার্মানিতে মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। জার্মান সরকার মুসলমানদের ব্যাপারে কিছু কঠোর নীতিমালা ও বিধি প্রবর্তন করে।

ইসলামিক সেন্টার ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় এতদিন যে স্বাধীনতা ছিল, ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর তা সীমিত হয়ে পড়ে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী যেকোনো সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেকোনো মুসলমানকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি করতে পারে।

কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মুসলমানরা নীরব ও অলস বসে নেই। তারা প্রতিনিয়ত সকারের সাথে আলাপ আলোচনায় বসেন। ড: নঈম ইলিয়াছের নেতৃত্বে সুপ্রিম কাউন্সিল অব মুসলিমস ইন জার্মানির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল জার্মান চ্যান্সেলরের সাথে সাক্ষাৎ করে সন্ত্রাস পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন এবং জার্মানিতে মুসলমানদের অবস্থান তুলে ধরেন।

কতিপয় উগ্রবাদী জার্মান ইসলামবিদ্বেষী হলেও সাধারণ মানুষ মনে করে ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং ইসলাম সন্ত্রাসবাদের বিরোধী। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের খ্রিষ্টান সহপাঠীদের সাথে সে ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করে প্রমাণ করে যে, ইসলামের সাথে সন্ত্রাসবাদের সম্পর্ক নেই।

পরিকল্পিত এ প্রয়াসের ইতিবাচক ফলাফল লক্ষ করা যায়। ইসলাম ও মুসলমানদের ব্যাপারে জার্মানির ইলেকট্র্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার রয়েছে দ্বৈত ভূমিকা। কিছু আছে ইসলামের ব্যাপারে নমনীয়। আর কিছু ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ ভাবাপন্ন, তারা ইসলামকে সন্ত্রাসের প্রতিরূপ মনে করে। জার্মানির মিডিয়াতে কোনো মুসলমান সাংবাদিক নেই।

স্মর্তব্য, জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় মহিলার সংখ্যা বেশি। এর পেছনে রয়েছে নানা যৌক্তিক কারণ। নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী স্বাধীনতার নামে পাশ্চাত্যে যেসব কর্মকাণ্ড হচ্ছে তাতে সাধারণ মহিলারা আতঙ্কিত ও বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠছেন।

হুদা খতুব নামে এক খ্রিষ্টান মহিলা যিনি পরবর্তী সময়ে মুসলমান হয়েছেন, এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন, ‘নারীবাদ মূলত নারীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার নামান্তর’। তিরি আরো বলেন, Women copying men, an exercise in which womanhood has no intrinsic value. অর্থাৎ ‘মহিলারা পুরুষদের নকল করছে; এটা এমন এক কর্মকাণ্ড যার কারণে নারীত্বের অন্তর্নিহিত মর্যাদা আর অবশিষ্ট থাকে না।’

ইউরোপের মর্যাদাবান সংবাদপত্র The London Times এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে যে মন্তব্য করে তা প্রণিধানযোগ্য-
It is even more ironic that most converts should be women, given the disparate view in the West that Islam treats women poorly. Westerners despairing of their own society- rising crime, family breakdown, drugs and alcoholism- have come to admire the discipline and security of Islam.

অর্থাৎ ‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের ব্যাপার যে, ধর্মান্তরিতদের মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা, অথচ পশ্চিমা বিশ্বে এ মতবাদ ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে যে, ইসলাম নারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। ক্রমবর্ধমান মাদকাসক্তি, পারিবারিক ভাঙন ও অপরাধ প্রবণতার কারণে নিজেদের সমাজ সম্পর্কে হতাশাগ্রস্ত পশ্চিমা জনগণ ইসলামের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার প্রশংসা করছে।’

ইসলামফোবিয়া, প্রতিকূল ও বৈরী পরিস্থিতি সত্ত্বেও জার্মানিতে অবস্থানরত মুসলমানরা ইসলামী শরিয়তের বিধি অনুসরণে নিষ্ঠাবান। তারা ইসলামী সংস্কৃতি প্রতিপালনে কোনো আপস করতে রাজি নয়। কারণ শরিয়ত একজন মুসলমানের অস্তিত্বের ভিত্তি। এ দৃঢ় মনোবৃত্তির কারণে জার্মানির ভূখণ্ডে ক্রমশ ইসলাম বিস্তৃতি লাভ করছে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও গবেষক
drkhalid09@gmail.com

Exit mobile version