জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘এক বছর আগে আইন মন্ত্রণালয়ে একটি আইনের খসড়া জমা দেয়া হয়। আজ পর্যন্ত মন্ত্রণালয় তার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা জানি না, আইন মন্ত্রণালয় ওখানে বসে বসে ডিমে তা দিচ্ছে কি না।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘অস্পৃশ্যতা এবং দলিত মানবাধিকার: রাষ্ট্র ও সমাজের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা বৈষম্য বিলোপ আইনের খসড়াটি এক বছর আগে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত আইনটির বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে আইনটি যেন দ্রুত পাস করা হয়।’
দেশে শিশু ও নারী নির্যাতনে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রকে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘অতীতে ঝালকাঠির লিমনকে গুলি করার পরে অপরাধীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার ছিল। সেটি কাজে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু সাম্প্রতিক শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়নি। এজন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিশ্চুপ রয়েছে।’
বাংলাদেশ নাগরিক উদ্বেগ এবং বিডিইআরএম নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই সেমিনারের আয়োজন করে।