কূটনীতিকদের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাল আদর্শ ঢাকা আন্দোলন

ঢাকাস্থ কূটনীতিকদের সিটি নির্বাচনের বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাল আদর্শ ঢাকা আন্দোলন।

বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রায় ১৫টি দেশের কূটনীতিকদের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তারা নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে-এসময় কূটনীতিকরা আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের কাছে জানতে চেয়েছেন, সম্প্রতি প্রচারণা চলানোর সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর হামলার সময়ে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও সরকার এ বিষয়ে সর্বশেষ কী পদক্ষেপ নিয়েছে তাও জানতে চেয়েছেন তারা।

রোববার বেলা সাড়ে ১২টার সময়ে রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলে এ বৈঠক হয়েছে বলে বৈঠকে অংশ নেয়া একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, বৈঠকে ঢাকাস্থ যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, নরওয়ে, সৌদি আরবসহ প্রায় ১৫টি দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে আদর্শ আন্দোলনের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে, ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্তমান নির্বাচন কমিশন আদর্শ আন্দোলন সমর্থিত প্রার্থীদের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করেছে। স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশন সকলের জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারেনি। নির্বাচনের সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে এ নির্বাচন কমিশন। সরকারের প্রেসক্রিপশনের বাইরে কোন ব্যবস্থাই নিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দুই রকম সিদ্ধান্তের বিষয়েও কূটনীতিকদের অভিহিত করা হয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

বৈঠকে কূটনীতিকদের আরও জানানো হয়েছে, সরকার সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া সকল প্রার্থী ও ভোটাররা সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন শেষ পর্যন্ত জনদাবি মানেনি।

সরকার সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা আইন লঙ্ঘন করলেও নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়েছে বলে কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে বলে সূত্র জানায়।

বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিরোধী মতের কোন প্রার্থীদের কোন অভিযোগের বিপরীতেই ব্যবস্থা নেয়নি বলে আদর্শ আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সূত্র আরো জানায়, এসময় বৈঠকে অংশ নেওয়া কূটনীতিকরা আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছেন খালেদা জিয়ার ওপর হামলার সময়ে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কী না তাও জানতে চেয়েছেন। সরকারও কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা কূটনীতিকরা জানতে চেয়েছেন।

প্রতিউত্তরে আদর্শ আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন বা পুলিশ তথা সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার ওপর হামলার বিষয়ে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু দোষীদের ছবি সকল গণমাধ্যমে প্রকাশ হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

বৈঠকে আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহ্বায়ক প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহবুব উল্লাহ ও মাহফুজ উল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার প্রমুখ ছাড়াও আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

Exit mobile version