রাজধানীর কারওয়ান বাজারে খালেদা জিয়ার পথসভায় হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা।
ঢাকা মহানগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হক রাতেই এ মামলা দায়ের করেন বলে তেজগাঁও থানার এসআই মো. রমজান আলী জানিয়েছেন।
তিনি মঙ্গলবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলায় কারো নাম-পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও বিএনপি নেতাকর্মী মিলিয়ে ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে জনতাকে হত্যার চেষ্টা ও বেআইনি জনসভাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আগের দুদিনের মতো সোমবার বিকালেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচারণায় নামেন খালেদা জিয়া। কারওয়ান বাজারে কাঁচাবাজারের সামনে পথসভা শেষে তার গাড়িবহর লক্ষ্য করে হামলা হয়।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে খালেদার বক্তব্য যখন শেষ দিকে তখন পাশ থেকে এক দল লোক ‘ছি ছি খালেদা- খালেদা ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকে।
এর মধ্যে আশপাশের ভবনের ওপর থেকে খালেদা জিয়ার গাড়ি লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ শুরু হয়। তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীদের কয়েকজনের মুখ ও মাথায় ইট এসে পড়ে। আহত হন সেখানে থাকা কয়েকজন সাংবাদিকও।
খালেদা জিয়া অক্ষত থাকলেও ইটের আঘাতে তার গাড়ির এক পাশের কাচ ফেটে যায়।
বহরের সব গাড়ি ঘুরে এফডিসির দিকে এগোতে গেলে এক দল লোক তখন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। খালেদার গাড়ি তার নিরাপত্তা রক্ষীরা ঘিরে সামনের দিকে নিয়ে যায়। তবে অন্য প্রায় সব কটি গাড়ি ভাংচুরের শিকার হয়।
সরকারের উসকানিতে এই হামলা হয়েছে দাবি করে এর প্রতিবাদে বুধবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম বাদে সারা দেশে হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘটনাকে বিএনপি চেয়ারপারসনের ‘নাটক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিএসএফের সদস্যরা বিনা উস্কানিতে গুলি চালিয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি নেত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনার নিরাপত্তা কর্মীদের ঠেকান। মানুষের জান-মাল নিয়ে আর যেন খেলা না হয়।”
ওই ঘটনায় হামলাকারী কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।