২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াত ছাড়ার বিষয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও দলটির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্মেলন শেষে জামায়াত ছাড়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক কোনো চাপ আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ভোটের। এ জোট সম্পূর্ণ কৌশলগত। জোটে আন্দালিব রহমান পার্থের বিজেপিও আছে। সাম্যবাদী দলও আছে। তারা তাদের রাজনীতি করে। আর বিএনপি জিয়াউর রহমানের দর্শনের রাজনীতি করে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর খালেদা জিয়ার বিএনপি এখন জামায়াতনির্ভর’ এ মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে রিপন বলেন, ‘তিনি (বি চৌধুরী) আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব ছিলেন। তিনি আরেকটি দল করলেও তার দর্শনও জিয়াউর রহমানের আদর্শ। ওই মন্তব্য তার একান্তই ব্যক্তিগত। তবে বিএনপি জামায়াতনির্ভর দল নয়। বিএনপি জিয়াউর রহমানের দর্শন ও মূলনীতি দিয়ে পরিচালিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান রিপন অভিযোগ করেন, সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের দায়িত্বপালনকালে দেশের অর্থ খাত বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক খাততে লুটপাটতন্ত্রে পরিণত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী স্টুপিড ও রাবিশ বলতে পছন্দ করেন। আমরা তার সঙ্গে যোগ করছি বোগাস।’
রিপন বলেন, “রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে ডাকাত পড়েছে। বেসিক ব্যাংকের লুটপাট নিয়ে গণমাধ্যমে অভিযোগ উঠলে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ব্যাংকের এমডি আ. হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ অথচ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বরং অনেক অভিযুক্ত ও লুটপাটে সহযোগিতাকারীদের অন্যান্য ব্যাংকের এমডি নিযুক্ত করা হয়েছে।”
রিপন বলেন, ‘বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঝুঁকিমুক্ত ছিল। অথচ এ সরকারের সাত বছরে এ সব ব্যাংকগুলো লুটপাটের মাধ্যমে দূরবস্থায় ফেলা হয়েছে। লুণ্ঠনের মাধ্যমে প্রতিটি ব্যাংককে ঝাঝরা ও ফোকলা করা হয়েছে। অনির্বাচিত সংসদে আমরা এর জবাবদিহিতা চাই না। তবে জনগণ তাদের ছাড়বে না। জনগণের কাছে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আযাদ প্রমুখ।