সাগরে ডুবতে দেখলেও অভিবাসীদের তীরে না তুলতে জেলেদের নির্দেশনা দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ।
একই সাথে ওই অঞ্চলে সাগরে ভাসতে থাকা অভিবাসীদের নৌকাগুলোর আরোহীদের কোন রকম সাহায্য না করতে জেলেদের বলে দেয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক হাজার অভিবাসী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উপকূলে সাগরে ভাসছে।
থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, এবং ইন্দোনেশিয়া এই অভিবাসীদের বহনকারী নৌকাগুলো তীরে ভিড়তে দিচ্ছে না।
জাতিসঙ্ঘ এর আগে খাবার ও পানির তীব্র সঙ্কটে থাকা এসব অভিবাসীকে তীরে ভিড়তে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।
কিন্তু এখন জাতিসঙ্ঘ বলছে, কোনো দেশই তা মানছে না।
জীবনের ঝুঁকিতে থাকা এসব অভিবাসীদের বিষয়ে দেশগুলোর এমন কঠোর অবস্থান কেন?
উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের মধ্যে রয়েছে শিশুরাও
মালয়েশিয়াভিত্তিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা কারাম এশিয়ার সমন্বয়ক হারুন আর রশিদ বিবিসিকে বলেন, দেশগুলো ভাবতে পারে যে তীরে ভিড়তে দিলে আরো লোকজন আসতে পারে তবে মানবিক কারণেই তাদের তীরে আসতে দেয়া উচিত।
তবে এর আগে মানবপাচারের উৎসদেশগুলোর একটি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারেরও কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি মানবপাচার বন্ধে।
তিনি বলেন, সঙ্কট নিরসনে জাতিসঙ্ঘ বা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উদ্যোগ ঠিক কাজ করছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলেও তো ভবিষ্যতে মানবিক কোনো বিপর্যয়ে তো সহায়তা করতে কেউই এগিয়ে আসবে না।
যারা এখন অবৈধ অভিবাসীদের তীরে ভিড়তে দিচ্ছে না তাদের নাগরিকদের ক্ষেত্রে হলে কি হবে সেটিও তাদের ভেবে রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হারুণ বলেন মিয়ানমারকেও রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দিতে হবে না হলে এরা যাবে কোথায়। আন্তর্জাতিক বিশ্বকেও এ বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করা উচিত।