রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৪ তম জন্মবার্ষিকীতে আজ শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে তিনি জানান।
সকাল ১০টার দিকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর শাহজাদপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রী রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, সরকার চায় এ দেশের মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে। সেভাবে দেশকে গড়ে তুলতে চায়। শিল্পসাহিত্য মনের বিকাশ ঘটায়। তাই সরকার শিল্পসাহিত্যের বিকাশের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। খেলাতেও বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন কীভাবে পাকিস্তানকে বাংলাদেশ ‘বাংলাওয়াশ’ করল।
সিরাজগঞ্জের দুগ্ধ খামার, তাঁত শিল্পের উন্নয়ন করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় এখানে কয়েক হাজার বিঘা গো-চারণ ভূমি দেওয়া হয়। গাভি পালন শুরু হয়। একে কেন্দ্র করেই পরে দুগ্ধ খামার গড়ে ওঠে। মিল্ক ভিটা দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত করতে আধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হবে। বিদেশেও দুধ রপ্তানি করা হবে। তাঁত শিল্পের উন্নয়ন হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি তাঁতের শাড়ি পছন্দ করেন।
রাজনীতির প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বলেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, তাঁরা কীভাবে ভোটের আশা করে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। এই স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতে হবে। ২০২১ সালে যখন বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে তখন দেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত সিরাজগঞ্জে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস থাকবে। কবির স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ও নওগাঁর পতিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থাকবে।

গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির আইনের খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। শিগগির মন্ত্রিসভায় এটি অনুমোদিত হবে। আগামী মাসে সংসদ অধিবেশনেই এটি বিল হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এখানে রবীন্দ্র দর্শন বিষয়ে অধ্যয়ন ও গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। কলা, সংগীত ও নৃত্য, চারুকলা, নাট্যকলা, সামাজিক বিজ্ঞান, কৃষি ও সমবায়, ব্যবসায় প্রশাসন, আইন, বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিসহ নতুন কিছু বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়ানো হবে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হলে দেশে স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হবে ৩৮ টি। এর বাইরে খুলনায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করার বিষয়টিও চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছেন ইউজিসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।

Scroll to Top