আবাসিক হলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আব্দুল হামীদ হলে শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— রুয়েটের নগর আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী ও গ্লাস এ্যান্ড সিরামিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ। তারা দু’জনই সভাপতি রাইসুল ইসলাম রোজ গ্রুপের কর্মী।
আহতদের মধ্যে রাব্বীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। অপর শিক্ষার্থী শরীরে রডের আঘাতে আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েক দিন ধরে রুয়েটের শহীদ আব্দুল হামিদ হলে শিক্ষার্থী তোলা নিয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান হিমেল গ্রুপের সঙ্গে সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের দ্বন্দ্ব চলছিল। ওই হলটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রভাব দেখিয়ে তার কর্মীরা সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কয়েকজন কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতা ও রুয়েট ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শিফাইন ও আবিরের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী হামিদ হলে ছুরি, রড ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় সভাপতি গ্রুপের কর্মী রাব্বীর মাথায় ও পায়ে ছুরির আঘাতে জখম হন। এ সময় সভাপতি গ্রুপের অপর কর্মী শাকিলও রডের আঘাতে আহত হন।
রুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান হিমেল দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরেই সভাপতি গ্রুপের কয়েকজন আমার ছেলেদের হলে ওঠা নিয়ে ঝামেলা করছিল। তবে আজকের মারামারির সময় আমি ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম।’
রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘সভাপতি গ্রুপের শিফাইন ও আবির কয়েকজন বহিরাগতকে নিয়ে আমার ছেলেদের হলে গিয়ে মারধর করেছে। পরে হিমেল এসে বিষয়টি সমাধান করেছে।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যে সামান্য মারধরের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে তারা নিজেরাই তা মীমাংসা করে নিয়েছে।’