এক ভুলের কারণে আইনি জটিলতায় পড়ল বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সীমান্ত বিনিময় সংক্রান্ত চুক্তিটি। ত্রুটি যুক্ত খসড়া(ড্রাফট) বিলটিই পাস করা হয়েছে ভারতের পার্লামেন্টের সর্বোচ্চ কক্ষ রাজ্যসভায়। বিলটি সংশোধনীসহ পুনরায় পাস করা হলেও তা বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন করে আইনি জটিলতায় পরছে ভারত। ফলে চুক্তি বাস্তবায়ন পিছিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে আইনজ্ঞরা।
ত্রুটি সংশোধনের জন্য ফের বিলটি রাজ্যসভায় উঠছে সোমবার। বিলটি পাসের জন্য ফের একই প্রক্রিয়ায় যেতে হবে ভারতীয় সংসদ সদস্যদের। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বিলটি সংশোধনের জন্য সোমবার রাজ্যসভায় উপস্থাপন করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ভারতের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারি এ ত্রুটি নিয়ে শুক্রবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে ভারতের দ্যা ইকোনমিক টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে।
জানা গেছে, পার্লামেন্টে পাস হওয়া সীমান্ত চুক্তির বিলটি ছিল ভারতের ১০০তম সংবিধান সংশোধনী বিল। কিন্তু বিলটি উত্থাপনের সময় ১১৯তম উল্লেখ করা হয়।
পাসের পরে ভুলটি ধরা পরে। সংশোধনের জন্য রাজ্যসভায় ফেরত পাঠনো হয়েছে বিলটি। সংশোধনসহ বিলটি নতুন করে পাস হওয়ার পরই ভারতের রাষ্ট্রপতি তাতে স্বাক্ষর করবেন। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পরই তা সরকারি গেজেট হিসেবে প্রকাশিত হবে।
এদিকে, পার্লামেন্টে পাস হওয়া স্থলসীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত বিলটি বাস্তবায়নের জন্য বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আইনজ্ঞরা মনে করছেন একই কথা।
বিলটির সঙ্গে যেহেতু প্রথম সিডিউলের সংশোধন যুক্ত এবং সংবিধানের ৩৬৮ ধারা অনুযায়ী এই সংশোধন হবে। তাই এটি সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোসহ অন্তত ভারতের ৫০ শতাংশ রাজ্যের অনুমোদন লাগবে কিনা তার আইনগত পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। সেই পরামর্শ মতই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এরপর বিলটি পাঠানো হবে প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য। সেই অনুমোদন পাওয়ার পর সরকারি গেজেট প্রকাশিত হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ চার দশক পরে গত ৭ মে ভারতের রাজ্যসভায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় সংক্রান্ত চুক্তিটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছিল।