এবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ তুলেছে ঢাকা মহানগর জামায়াত। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া সিটি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বপালনের জন্য জমা দেওয়া জামায়াতসহ বিরোধী দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের তালিকা ধরে ধরে বাসায় বাসায় পুলিশ তল্লাশী চালাচ্ছে এবং তাদের মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে জামায়াতের পক্ষ থেকে। এজন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এর জবাবও চেয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এসব অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে প্রচারণায় বাধা, অপপ্রচার, হামলা, গ্রেফতার, ভোটের দিন গণহারে জালভোট, পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া ও মারধর এবং নির্বাচনে সাজানো রায় ঘোষণার পরও নির্বাচন কমিশন সরকারীদলের আজ্ঞাবহ দাসত্ব থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তাই নির্বাচনের দিন অন্যায়ভাবে আটক পোলিং এজেন্টদের মুক্ত করতে তারা প্রশাসনকে কোনো ধরনের নির্দেশ দেয়নি। এমনকি এখনও জামায়াতসহ বিরোধী প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের আটক ও হয়রানি করতে তাদের বাসায় পুলিশ হানা দিচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের তালিকা ধরে ধরে বাসায় বাসায় পুলিশী তল্লাশী চালানো হচ্ছে এবং তাদের মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে দেয়া পোলিং এজেন্টদের তালিকা কীভাবে স্থানীয় থানা ও শাসকদলীয় ক্যাডারদের হাতে তুলে দেয়া হল এর জবাব কমিশনকেই দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিনাভোটের সরকারদলীয় কাউন্সিলররা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নিজেদের নিয়ন্ত্রণমূলক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতেই নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের উপর হামলা-হুমকি-হয়রানি শুরু করেছে। ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করছে এবং চাঁদা না পেলে হামলার ঘটনাও ঘটছে। ফুটপাতের হকাররাও তাদের চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছে না।’’
তিনি অবিলম্বে পোলিং এজেন্টসহ বিরোধী জোটের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।