গণকবরে অভিবাসীদের মৃতদেহ: মালয়েশিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মালয়েশিয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক পাওয়া গণকবরে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের দেহাবশেষ রয়েছে। এমনটাই ধারণা করছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ জাহিদ হামিদি। তিনি বলছেন, গণকবরগুলোতে মানব পাচারের শিকার হওয়া অভিবাসীদের মৃতদেহ রয়েছে বলেই তার ধারণা।

মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, থাই সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় মানব পাচারকারীদের ব্যবহৃত একটি পরিত্যক্ত শিবির এবং তার কাছাকাছি বেশ কিছু গণকবর পাওয়া গেছে। যাতে অন্তত শ’খানেক মৃতদেহ থাকতে পারে। তবে এখনও নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেনি তারা।

কিছুদিন আগে এই সীমান্ত এলাকাতেই থাইল্যান্ডের জঙ্গলের ভেতরে একই রকম পরিত্যক্ত শিবির এবং গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে মালয়েশিয়ার ভেতরে এই প্রথম গণকবর পাওয়া গেল।

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা এই গণকবরের সন্ধান পেয়ে স্তম্ভিত হয়েছেন। থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে মোট ১৪টি বড় আকারের শিবির এবং তিনটি ছোট শিবিরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলো অন্তত পাঁচ বছর ধরে চালু ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘পুলিশের বিশেষ বাহিনী এবং সিভিল ডিফেন্স ফোর্স ওই গণকবরগুলোর সন্ধান পায়। যা এখন পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যাচাই করার চেষ্টা করছেন। এই গণকবরগুলো অভিবাসী পাচারের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত বলেই মনে হচ্ছে।’

গত বেশ কিছুদিন ধরে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে কয়েক হাজার অভিবাসী বহনকারী নৌকা ভাসছে।

ওই দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ এদের তীরে নামতে না দেওয়ায় ওই নৌকাগুলোর আরোহীরা খাবার ও পানির তীব্র অভাবের মধ্যে দিন কাটাতে হয়।

তবে এই মানবিক সংকট নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হওয়ার পর গত সপ্তাহে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া এই অভিবাসীদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিতে রাজি হয়। খবর: বিবিসি, এএফপি।

Scroll to Top