ঝড়ে একজনের মৃত্যু, কয়েক শ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

কিশোরগঞ্জের উলিয়ারচর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গাছ চাপা পড়ে শীতল চন্দ্র বর্মণ (৩২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও ঝড়ে ভৈরব উপজেলার আগানগর, শিমুলকান্দি, শ্রীনগর ও সাদিকপুর ইউনিয়নের কয়েক শ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও বিধ্বস্ত হয়েছে।

উলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী মিজানুজ্জামানের ভাষ্য, মাছ বিক্রি করে শীতল চন্দ্র বর্মণ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। দারিয়াকান্দি ইউনিয়নের বিটিগাঁও এলাকায় পৌঁছালে অ​টোরিকশাটি ঝড়ের কবলে পড়ে। এ সময় অটোরিকশার ওপর একটি গাছের ভাঙা অংশ এসে পড়লে শীতল মারা যান। তবে চালক সুস্থ আছেন।

ভৈরবের সাদিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন আজ রোববার প্রথম আলোকে জানান, তাঁর এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসাসহ ২৫০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও বিধ্বস্ত হয়েছে।

আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদের ভাষ্য, লুন্দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আয়েশা সিদ্দিকী মহিলা মাদ্রাসা এবং লুন্দিয়া উত্তরপাড়া মসজিদসহ তাঁর এলাকায় ১০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। লুন্দিয়া গ্রামটি পরিদর্শন করছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তাঁর ভাষ্য, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ২৫টি ঘরবাড়ি দেখেছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আগানগর ইউনিয়নেই এক কোটি টাকা হবে।

শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের ভাষ্য, তাঁদের ইউনিয়নের প্রায় ১৫০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও বিধ্বস্ত হয়েছে।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তারের ভাষ্য, ঘটনাস্থলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। মাঠপর্যায়ে কাজ চলছে। ঝড়ে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম তালুকদার জানিয়েছেন তাঁরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।

Scroll to Top