ঢাকা: টানা ছয় দিন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রী দুর্ভোগের পর বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করলো বাস মালিক সমিতি। সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে ব্ঠৈক শেষে সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ কথা জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, পুলিশের ভারপ্রাপ্ত আইজি জাভেদ পাটোয়ারি, পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, শ্রমিক পক্ষে শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমানসহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মালিক ও পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিবহন মালিকদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের ছয়টি দাবি ছিল। এরমধ্যে মধুখালির ঘটনায় আরো সুষ্ঠু তদন্তের জন্যএকজন যুগ্ম-সচিব এবং একজন অতিরিক্ত ডিআইজির সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া মামলার তদন্তভার সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ১৮ মে রাতে ঢাকা থেকে বেনাপোলগামী সোহাগ পরিবহনের একটি বাস পথিমধ্যে ফরিদপুরের মধুখালিতে ডাকাতদের কবলে পড়ে। ডাকাতি শেষে চালক বাসটি নিয়ে মধুখালী থানায় হাজির হয়ে মামলা নেয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু পরদিন ১৯ মে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদপুরের এসপির নির্দেশে চালককে সকাল পর্যন্ত বসিয়ে রাখেন। এরপর চালক আয়নাল, হেলপার অপু ও চেকার রবিউলকে আসামি করে ডাকাতির মামলা করে তাকে আটক করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সেদিনই খুলনা ও বরিশাল রুটে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। এরপরেও চালক, হেলাপার ও চেকারকে মুক্তি না দেয়ায় ২২ মে থেকে পরিবহনের পাশাপাশি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৮ রুটে ভাড়ায় চালিত সব ধরনের যানবাহান বন্ধ করে দেয়া হয়। ২৩ মে পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ধর্মঘট অব্যাহত রাখেন পরিবহন শ্রমিকরা।