দেশে হবে গ্লোবাল আইটি ইন্ডাস্ট্রি : জয়

সবার হাতে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, এ ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ খাতের আধুনিকায়ন জরুরি। এ জন্য দেশের বর্তমান টেলিযোগাযোগ নীতিমালা সংশোধন করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতেই রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু-তে দিনব্যাপী এই সামিটের আয়োজন করেছে গ্রামীণফোনের মূল কম্পানি টেলিনর। জিডিপির আকার অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বের ৪৫তম অর্থনীতির দেশ উল্লেখ করে জয় বলেন, আমরা দেশকে গ্লোবাল আইটি ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

২০০৮ সালে দেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ, ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ২৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৯ শতাংশ, আজ তা ৬৫ শতাংশে নিয়ে এসেছে বর্তমান সরকার, যোগ করেন তিনি। সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, সারা দেশে ইলেক্ট্রিসিটির গ্রিড ২৭ থেকে ৬২ শতাংশ, ইন্টারনেট ০.৪ শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশ, মোবাইল গ্রাহক ২০ মিলিয়ন থেকে ১২০ মিলিয়ন উন্নীত হয়েছে। দেশে ৫৩ হাজার ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সহজেই সরকারি সব সেবা নিতে পারছেন।

তিনি বলেন, আগে ল্যান্ড রেকর্ডসহ সরকারি বিভিন্ন সেবা পেতে কয়েক সপ্তাহ লাগতো। এখন তা ২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় ৯০ শতাংশ কমে গিয়েছে। ভ্রমণ খরচ অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগে গ্রাম থেকে কাউকে শহরে যেতে যাতায়াত খরচ, থাকা, খাওয়াসহ অনেক খরচ লাগতো। এখন তার কিছুই লাগছে না। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইট এখন আমাদের। যেখানে ৫০ হাজারের বেশি লোক কাজ করছে। ২৫ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম তৈরি করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশে বর্তমানে ৭ লাখ মানুষ আইটিনির্ভর জীবিকা নির্বাহ করছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে আইট ও সফটওয়্যার পার্ক তৈরি করা হবে। ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের গ্রামাঞ্চলসহ সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে যাবে। টেলিনরের প্রেসিডেন্ট জন ফ্রেডরিক বাকসাস বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন একটি বাস্তবতা। এ জন্য ইন্টারনেট কানেক্টভিটির সঙ্গে সঙ্গে আইটি খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান বলেন, ২০১৮ সাল নাগাদ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। সরকারের সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এক নম্বর গন্তব্যে পরিণত করবো।

Scroll to Top