নরেন্দ্র মোদি ও সোনিয়া গান্ধীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

লোকসভায় স্থল সীমান্ত বিল অনুমোদন হওয়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী সোনিয়া গান্ধীসহ ভারতের সব রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (০২ জুন) রাতে দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্য দিবসের শুরুতেই চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এ সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করেন। উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চুক্তি অনুমোদন বিল পাস হওয়ায় ভারতীয় জনগণ, সরকার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিরোধী দলের নেতা সোনিয়া গান্ধীসহ লোকসভা ও রাজ্যসভার সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ভারত সহযোগিতা করেছিল বলেই নয় মাসে বিজয় অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমেরিকায় আমার কথা হয়েছিল। সেখানে তিনি আমাকে বলেছিলেন এ বিলটি অনুমোদন করিয়ে দেবেন। তিনি কথা রেখেছেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, স্থল সীমান্ত বিল অনুমোদনের পর নরেন্দ্র মোদি আমাকে ফোন করে খবরটি জানান। আমি তাকে এবং লোকসভা ও রাজ্যসভার সব সদস্যকে অভিনন্দন জানাই।

তিনি বলেন, বিলটি পাস হওয়ার পর ওই দিনই আমি প্রটোকলের দিকে না তাকিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারসহ সব দলের সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন স্বাধীনতা দিয়েছেন তেমনি বাঙালির প্রতিটি সফলতার ক্ষেত্র তৈরি করে গিয়েছিলেন। স্থল সীমানা চুক্তি সমুদ্র সীমা আইন সবই তিনি করে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেয়নি। জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল বলেই আমরা সরকার গঠন করে জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার সুযোগ পেয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি দুই দেশের মধ্যে কোন সমস্যা থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু শুধু চুক্তিই করে যাননি, সংবিধানে আইনটিও করে যান। বঙ্গবন্ধু আইন করে গিয়েছিলেন বলেই, আমাদের ভিতটা এতো শক্ত হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বাস্তবায়ন হয়ে যেত।

তিনি বলেন, আমি ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে ভারত সফরের যাই। তখন চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে তখনকার প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এর সঙ্গে কথা বলি। এরপর ২০১১ সালে ৬ সেপ্টেম্বর মনমোহন সিং ঢাকা সফরে আসেন। সেই সফরে তিনি কথা দিয়েছিলেন সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন বিলটি লোকসভায় তুলবেন। সেই অনুযায়ী বিলটি লোকসভায় উত্থাপন করা হয়, এরপর রাজ্যসভায় পাঠানো হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান বিশ্বে দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে গেলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা জরুরি। আমরা চাই দেশে দারিদ্র মুক্ত হোক, এজন্য সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা থাকা দরকার।

তিনি বলেন, আমাদের এ অঞ্চলের একটাই শত্রু, সেটা হলো দারিদ্র। এই দরিদ্রতা দূর করতে হলে সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি আমরা অনুসরণ করি।

Exit mobile version