ন্যাশনাল ব্যাংক ভবন এলাকার পুরো অংশই এখন ঝুঁকিপূর্ণ

রাজধানীর সোনারগাঁও রোডের (সি. আর. দত্ত সড়ক) হোটেল সুন্দরবন সংলগ্ন নির্মাণাধীন ন্যাশনাল ব্যাংক ভবন এলাকার পুরো অংশই এখন ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিদ্দিকুর রহমান।

শুক্রবার (২৯ মে) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি জানান, নির্মাণাধীন এ ভবনের পুরো এলাকাটাই এখন ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি বলেন, গর্তের কারণে ধসের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে পুরো ভবনটা এলাকাই ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি না হলেও ভবন এলাকাসহ সার্ক ফোয়ার পশ্চিম পাশ থেকে সুন্দরবন হোটেলের পূর্বকোণ পর্যন্ত অংশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

এদিকে, সেনাবাহিনীর ছয় সদস্যের একটি দলও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

অপরদিকে, বৃহস্পতিবার বালু দিয়ে ভরাট করার পর বর্তমানে বালু ফেলা বন্ধ রয়েছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে সিটি কর্পোরেশন ও রাজউকের তত্ত্বাবধানে ফের বালু দিয়ে গর্ত ভরাট করার কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন উপস্থিত সিটি কর্পোরেশন ও রাজউকের কর্মকর্তারা।

নিরাপত্তার কারণে বর্তমানে সুন্দরবন হোটেলের আশপাশ দিয়ে লোকজনের চলাফেরা একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি সাংবাদিকদেরও সেখানে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।

ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় বৃহস্পতিবার থেকে সার্ক ফোয়ারা থেকে হাতিরপুলের দিকের সোনারগাঁও রোড ও সোনারগাঁও রোড থেকে পান্থপথে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ রাখা রয়েছে।

বুধবার সকাল সোয়া সাতটায় বিকট শব্দে সোনারগাঁও রোডের সুন্দরবন হোটেল সংলগ্ন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের নির্মাণাধীন ভবন বিকট শব্দে ধসে পড়ে।

এ সময় আতঙ্কে লোকজন দিগবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।

পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ধসে পড়া এলাকার লোকজনকে সরে যেতে বলেন। এ ছাড়া ধসে পড়ার ঘটনায় সুন্দরবন হোটেল ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে এর সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ।

পরে দুই সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ ছাড়াও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

Exit mobile version