চট্টগ্রামে ভারি বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় বাটালী হিলের মতিঝর্ণা এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমীন ও আবু হাসানের নেতৃত্বে মতিঝর্ণা পাহাড়ে অভিযান শুরুর আগে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ত্যাগ করতে প্রশাসনের পক্ষে মাইকিং করা হয়। পরে এসব পাহাড়ে থাকা গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমীন বলেন, ”পাহাড়ে যারা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে শুধু তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে।”
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী ১৫৮ জন পাহাড়ধসে নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০০৭ সালের ১১ জুন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১২৭, ২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট লালখান বাজারের মতিঝর্ণা পাহাড়ধসে ১১, ২০১১ সালের ১ জুলাই বাটালি পাহাড়ের রিটেইনিং দেয়াল ধসে ১৭ এবং ২০১২ সালের ১৭ জুন নগরীর ফিরোজ শাহ কলোনিতে একজন নিহত হন।
নগরীতে ঝুঁকিপূর্ণ ২৮টি পাহাড়ের মালিক হলো : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, রেলওয়ে, ওয়াসা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, গণপূর্ত বিভাগ, এ কে খান গ্রুপ, ইস্পাহানি গ্রুপ। বাকিগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড়।