ফ্রান্সে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী । গত সোমবার প্যারিসের ভুশনে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে ক্ষোভ আর তোপের মুখে পড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী । দূতাবাসে প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগকৃত ১ম সচিব আনিসা আমিন’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও রাষ্ট্রদুত আমলে নেননি উল্লেখ করে মন্ত্রীর সাথে এক পর্যায়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ফ্রান্স আওয়ামীগেরে যুগগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন কয়েছ। তখন তিনি বলেন, বিনা ভোটে মন্ত্রী হয়েছেন, আপনারা তো আরামে আছেন। আপনারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন না। এ সময় মন্ত্রী বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। কয়েছ আরো বলেন কিভাবে এমন একজন বেয়াদব মহিলাকে প্রধানমন্ত্রী এখানে নিয়োগ দিলেন সেটা তার বুঝে পড়ে না। রাষ্ট্রদূতকে অনেকবার অভিযোগ করলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। এ সময় কয়েক জন আওয়ামী কর্মী সাংবাদিকদের ক্যামেরা বন্ধ করার জন্য বলেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রদূত বলেন আনিসা আমিন একজন সৎ কর্মকর্তা। তার কোন বেড রেকর্ড ধরা পড়েনি। ধরা পড়লে তিনি ব্যবস্থা নিতেন। এদিকে আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতারা বলেছেন, এভাবে মন্ত্রী মহোদয়কে লাঞ্ছিত করা ঠিক হয়নি । কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটা লিখিত আকারে প্রমানসহ দিতে হয় । এভাবে মিডিয়ার সামনে মন্ত্রী মহোদয়কে অপমান করে তিনি সরকার এবং আওয়ামীলীগের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। দেলওয়ার হোসেন কয়েছ অনেক দিন যাবৎ দলীয় শৃংখলা ভংঙ্গ করে ফ্রান্স আওয়ামীলীগের সুনাম ক্ষুন্ন করে আসছেন। তার বিরোদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি একবার অন্যায় অবদার নিয়ে দুতাবাসে গেলে দুতাবাস কর্তৃপক্ষ সেটি গ্রহন না করায় তিনি দুতাবাস কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষেপে আছেন বলে জানা যায়।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র এক নেতা বলেন এখানে অনেক সাংবাদিক আছেন যারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করেন। দুতাবাসে কোন দূনীর্তি পেলে তারা নিশ্চইয় রিপোর্ট করতেন। আওয়ামীলীগের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করায় দেলওয়ার হোসেন কয়েছের শাস্থি দাবী করেছেন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা।