বিএনপির বর্জনের কারণেই নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে-ইসি

সদ্য অনুষ্ঠিত তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম হওয়ার পেছনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোকেই দায়ী করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচনী আয়োজনকারী সংস্থাটির মতে, দু’টো কারণে নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হয়নি। প্রথমত, সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে পুলিশের বাধা প্রদান। দ্বিতীয়ত, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মাঝপথে নির্বাচন বর্জন।

২৮ এপ্রিল তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণের মাঝামাঝি সময়ে এসে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপি সমর্থিতরা সরে দাঁড়ায়। এতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষ সরে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থিরা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। ফলে অনিয়ম বেড়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে।

এছাড়া, নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণার পেছনে পুলিশের ‘অসন্তোষজনক ভূমিকা’কেও দায়ী করছে কমিশন। কেননা, ভোটগ্রহণ শুরুর দিকে কোনো ভোটকেন্দ্রেই সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। এতে সাধারণ ভোটাররা ভোটের প্রকৃত চিত্রের খবর সংবাদমাধ্যমে পায়নি।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ  বলেন, নির্বাচন নিয়ে সকলেই কমিশনকে দোষারোপ করছেন। কমিশনকে দোষ দেওয়া খুব সহজ। কেননা, অন্য কেউ তো দায় নেবে না।

তবে, নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হয়নি, একথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই বলেও জানান এই কমিশনার।

তিনি বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ম তো হয়েছেই। তবে পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিলো। যেটুকু ঝামেলা হয়েছে, তার জন্য বিএনপি দায়ী। কারণ, তারা সরে যাওয়ার কারণে তাদের ভোটারদের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ ভোটাররাও কেন্দ্রে আসেনি। এছাড়া, এই সুযোগে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করেছে, এতে নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হয়েছে।

দুপুর পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে সন্তোষজনক ভোটারের উপস্থিতি ছিলো। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা থাকলে ভোটের হার আরও বাড়তো-যোগ করেন ইসি শাহনেওয়াজ।

তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪৪ শতাংশ। তবে, অনিয়মের কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনটি কেন্দ্র স্থগিত করে ইসি। এছাড়া, আরও বেশ কয়টি কেন্দ্রে সাময়িকভাবে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিলো।

নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেও এ ক’দিন কোনো কিছু জানানো হয়নি ইসির তরফ থেকে। তবে, নির্বাচন শেষ হওয়ার পাঁচদিনের মাথায় মুখ খুললেন নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ।

Exit mobile version