বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধে বাংলাদেশ জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার খবরটি বিশ্ব গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পরই গণমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন-বিবিসিতে এ-সংক্রান্ত খবরের শিরোনাম ছিল- বাংলাদেশে ইসলামি রাজনীতিক কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হন কামারুজ্জামান। দেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গণহত্যার অভিযোগে তাকে ২০১৩ সালের মে মাসে অভিযুক্ত করে। ৬২ বছর বয়সী কামারুজ্জামান ১২০ নিরস্ত্র কৃষককে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হন।
মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে শিরোনাম করা হয়েছে, বাংলাদেশে ইসলামি নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি শনিবার রাতে কার্যকর হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে শিরোনাম করা হয়েছে, ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসলামি নেতার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাননি। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর এ নিয়ে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হন তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর। প্রতিবাদে দলটি হরতালের ডাক দিয়েছে। ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে শিরোনাম করা হয়েছে, বাংলাদেশে জামায়াতের শীর্ষ নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হন কামারুজ্জামান। তিনি দলটির তৃতীয় প্রভাবশালী নেতা। দেশটির অন্য গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর তৃতীয় শীর্ষ নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসি গতকাল শনিবার রাতে কার্যকর করা হয়েছে। এর আগের দিন তার ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি শেষ মুহূর্তে স্থগিত করা হয়। ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হন তিনি।