‘ব্যাংক জালিয়াতদের ধরতে নিজের দল থেকেই বাধা আসছে’

নিজেদের লোকের সমর্থনের কারণে সোনালী ও বেসিক ব্যাংকে আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেন, ‘জড়িতদের বেশ কয়েকজনকে জেলে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। কিন্তু যে গতিতে যাওয়া উচিত, সেই গতিতে যেতে পারছি না।’

সোনালী ব্যাংকের হল-মার্ক কেলেঙ্কারির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের মামলায় একজন উপব্যবস্থাপনা পরিচালককে (ডিএমডি) জেলে নেওয়া হয়েছে। তিনি জেলেই মারা গেছেন। আরেক ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জেলে নেওয়া হয়েছে। আরেকজনকে কোনোভাবেই জেলে নেওয়া যাচ্ছে না। এঁরা সবাই বিভিন্ন জালিয়াতির মামলার আসামি। কিন্তু তাঁরা আমাদের লোকজনের সমর্থনে রয়েছেন। এটি নিয়ে আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।’

জাতীয় সংসদে গতকাল মঙ্গলবার ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট পাসের আগে ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম নিয়ে কয়েকজন সাংসদ প্রশ্ন তোলেন। সেসব প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী নিজের অপারগতা ও ক্ষোভের কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী এও বলেন, এখন পর্যন্ত যাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ রকম পদক্ষেপ এর আগে বাংলাদেশে কেউ নেয়নি, সাহসও করেনি।

বেসিক ব্যাংক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। তারা একটি অনুসন্ধান চালিয়ে রিপোর্ট ঠিক করছেন। রিপোর্টটি হাতে পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এরই মধ্যে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে বেসিক ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুষ্ট লোক দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে।

সোনালী ও বেসিক ব্যাংকের কেলেঙ্কারির কারণে ব্যাংক খাতে কিছুটা আস্থার সংকট হয়েছে বলেও স্বীকার করেন অর্থমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ব্যাংকের কাজকর্মে আস্থা ও বিশ্বাস প্রয়োজন। যখনই সেটা ঘাটতি হয়, তখনই মনে প্রশ্ন জাগে। আমাদের কিছু কিছু ঘাটতি হয়েছে সোনালী ও বেসিক ব্যাংক। সে জন্য কিছু কিছু পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।’

Exit mobile version