সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে চোর সন্দেহে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে (১৩) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি কামরুল হাসান সৌদি আরবের জেদ্দায় গ্রেপ্তার হয়েছে।
আজ সোমবার প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার এক দিন পরই দেশ ছেড়ে পালায় কামরুল।
ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক খায়রুল ফজল জানান, গত ১০ জুলাই দুপুর ২টায় কামরুল হাসান নামের ওই ব্যক্তি সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ছেড়ে যান।
রাজন হত্যা মামলার এজাহারের তিন নম্বর আসামি এই কামরুল ইসলাম।
গত ৮ জুলাই সকালে সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিশু রাজনকে। পরে লাশ গুম করার সময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করে কামরুলের ভাই মুহিত আলমকে। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় মুহিত, তাঁর ভাই কামরুল ইসলাম, আলী হায়দার ও স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়।
মামলার আসামি সিলেট সদর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের কামরুল হাসান দীর্ঘদিন ধরে সৌদি প্রবাসী। কিছুদিনের জন্য দেশে এসেছিলেন তিনি। তবে শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যার একদিন পরই আবার বাংলাদেশ ছেড়ে সৌদি আরব চলে যান তিনি।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া মুহিত শিশুটিকে নির্যাতনের ভিডিওচিত্র মুঠোফোনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। ২৮ মিনিটের সেই ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়।