মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্য বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেছেন, দেশটি সফলভাবে গণতন্ত্রে উত্তরণ ঘটাতে চাইলে এটা করতেই হবে।
ওবামা বলেন, মানব পাচারের শিকার কিংবা সাগরে ভাসমান আরাকানদের (রোহিঙ্গা) পুনর্বাসন নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার হোয়াইট হাউজে এশিয়ার তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভাষণে ওবামা এসব কথা বলেন।
তিনি উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করায় মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার প্রশংসা করেন এবং বলেন যুক্তরাষ্ট্র কিছু রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে।
চীনের উত্থানের মুখে এশিয়ায় ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ওবামা বিশেষ মনযোগ দিয়েছেন। এজন্য গত তিন বছরে তিনি দুবার দেশটি সফর করেছেন।
মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তরণে কী প্রয়োজন প্রশ্ন করা হলে ওবামা বলেন, ‘আমি মনে করি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুষের চেহারা (বর্ণ) কিংবা ধর্মবিশ্বাসের জন্য কোনো বৈষম্য না করা। কিন্তু আরাকারদের বিরুদ্ধে বৈষম্য হচ্ছে। এবং এ কারণে তারা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন।’
নিজে আরাকান (রোহিঙ্গা) হলে আপনি কি করতেন প্রশ্ন করা হলে ওবামা বলেন, ‘আমি আমার পিতৃভূমিতেই থাকতে চাইতাম। তবে আমি নিশ্চিত করতে চাইতাম যে আমার সরকার যেন আমাকে রক্ষা করে এবং লোকজন যেন আমার প্রতি ন্যায়বিচার করে।’
মিয়ানমারে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বসবাস করলেও রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ বলে দাবি করে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে আসছে মিয়ানমার সরকার।
দেশটির সরকার ও সংখ্যালঘু বৌদ্ধদের দ্বারা নিপীড়িত হয়ে গত তিন বছরে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা দেশ ছেড়েছে।
মিয়ানমারে ১১ লাখ ১৩ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস।
জাতিসংঘের মতে, রোহিঙ্গারা বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
সূত্র: এএফপি