লতিফ সিদ্দিকীর আরো ১০ টি মামলা স্থগিত

ইসলাম ধর্ম, হজ ও তাবলিগ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর দেশের বিভিন্ন আদালতে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দায়ের করা আরো ১০ টি মামলা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নিজামুল হক ও বিচারপতি মো. ফরিদ আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ দেন। একইসঙ্গে এসব মামলায় সিদ্দিকীর অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে রুল জারি করেছেন আদালত। লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ওইসব মামলা বাতিল করে কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হবেনা রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে ২৬ মে আরো লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন দিয়ে আরো সাতটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। শীর্ষ নিউজকে তিনি জানিয়েছেন, আরো মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেননা লতিফ সিদ্দিকী।

মঙ্গলবার আদালতে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে গিয়ে আইনজীবী বলেন, ফৌজদারী কার্যবিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী ‘দেশের বাইরে করা অপরাধে’ দেশে মামলা করতে হলে আগে ‘সরকারের অনুমোদন’ লাগে। কিন্তু এসব মামলার ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। যেভাবে মামলা দাখিল করা হয়েছে তাও ‘আইনসম্মত হয়নি’।

তাছাড়া মামলা করতে হলে সুস্পষ্ট অভিযোগ আনার নিয়ম থাকলেও এসব মামলায় তা হয়নি বলে শুনানিতে যুক্তি দেন আইনজীবী। তিনি বলেন, সংবিধানের ৩৫ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে একই অভিযোগে একাধিক মামলাও চলতে পারে না।

লতিফ সিদ্দিকী গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পবিত্র হজ, তাবলিগ জামাত, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাংবাদিকদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন। এ নিয়ে দেশে, বিদেশে এমনকি আওয়ামী লীগেও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, অবমাননা এবং মানহানির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে দায়ের করা হয় ২৯ টি মামলা।

এরপর লতিফ সিদ্দিকী দেশে ফিরে গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আত্মসমপর্ণ করেন। পরে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মন্ত্রিসভা থেকেও অপসারিত হন তিনি।

Exit mobile version