লতিফ সিদ্দিকীর রিট খারিজ

আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদের বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট ।

বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে লতিফের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোরশেদুল আলম।

গত রোববার লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদের বিষয়ে ইসির শুনানিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়। রিটে নির্বাচন কমিশন, আইন সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিবকে (আইন) বিবাদি করা হয়েছে।

গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকী হজ, তাবলিগ জামাতসহ অন্যান্য বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এরপর প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে এবং পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে।

লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে বহিষ্কারের ৯ মাস পর গত ৭ জুলাই জাতীয় সংসদের স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দিয়ে তা জানান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। চিঠিটি পর্যালোচনা করে স্পিকার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে তার বিষয়ে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ১৩ জুলাই চিঠি দেন। সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে ২ আগস্টের মধ্যে জবাব চেয়ে ১৬ জুলাই নির্বাচন কমিশন লতিফ সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগকে চিঠি পাঠায়। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিনে উভয়পক্ষ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের জবাব দেয় ইসিতে। পরে আওয়ামী লীগ এবং বহিষ্কার হওয়া নেতার জবাব পর্যালোচনা করে কমিশন আগামী ২৩ আগস্ট তাদের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

Scroll to Top