শীতকালে ত্বক ও চুল রুক্ষ হয়ে যায় প্রকৃতির মতো- একথা সবার জানা। শীতকালে ত্বক ও চুলের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। তাহলে শীতকাল হয়ে উঠবে রঙিন ফুলের মতো।
চুলের যত্ন : ১। একদিন অন্তর হালকা গরম অলিভ তেল চুলের গোড়ায় মালিশ করুন এবং কন্ডিশনারযুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
২। চুল ধোয়ার পর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে সেটি চিপে নিয়ে সেই তোয়ালে দিয়ে পাঁচ মিনিট চুল পেঁচিয়ে রাখুন।
৩। চুলের আগায় গ্লিসারিনযুক্ত পানি দিন সপ্তাহে দুই দিন।
৪। ভেজা চুল বাঁধবেন না এবং চুল রোদে শুকাবেন না। প্রয়োজনে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকাবেন।
৫। সপ্তাহে একদিন রিঠা ভেজানো পানি দিয়ে চুল ধোবেন।
৬। চুলের আগা ফেটে গেলে ছেঁটে দিন।
৭। পার্ম করা বা কালার করা চুলের এ সময় বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন। শ্যাম্পু ব্যবহারের পর কন্ডিশনার অবশ্যই ব্যবহার করবেন।
৮। চুলে হেনা বা মেহেদি দিলে সাথে মধু ও টকদই সমানুপাতে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন।
৯। চুলে ময়লা জমতে দেবেন না ও দিনে তিনবার চুল আঁচড়াবেন।
১০। মাঝে মাঝে চুলে ভিটামিন-ই যুক্ত তেল মাখতে পারেন ও ভিটামিন-ই ক্যাপসুল খেতে পারেন।
ত্বকের যত্ন : ১। ত্বকের ধরন অনুযায়ী মরশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করবেন। অন্তত দিনে দুইবার ক্রিম ব্যবহার করবেন।
২। কাটা ত্বকে গ্লিসারিন অনন্য। হাত ও পায়ের গোড়ালিতে রাতে ঘুমানোর আগে গ্লিসারিন লাগাবেন।
৩। ঠোঁটে নিয়মিত ভেসলিন লাগাবেন। ফাটা ঠোঁটে খুবই বিশ্রী ব্যাপার। আর শীতকালে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো।
৪। বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। রোদের তেজ কম বলে ভাববেন না যে, ক্ষতিকর সূর্য রশ্মির তেজ কম।
৫। হাত-পায়ে বডি লোশন কিংবা অলিভ তেল মাখবেন দিনে একবার কিংবা এক দিন অন্তর প্রয়োজন অনুযায়ী।
৬। গোসলের পানিতে নিমপাতা ফেলে গোসল করলে ভালো কিংবা নিম সাবানও ব্যবহার করতে পারেন।
৭। মহিলা বা পুরুষরা সপ্তাহে এক-দুই দিন স্ক্র্যাবার ব্যবহার করবেন। স্ক্র্যাবার ক্রিম দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ত্বকের মরা কোষ দূর হবে। ত্বক পরিষ্কার হবে।
৮। মাসে একবার ফেসিয়াল করাবেন ও স্টিম নেবেন। এতে লোমকূপের ভেতর জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়।
৯। মুখে মাস্ক হিসেবে কমলালেবুর খোসা বাটা ও মধু ২:১ অনুপাতে ব্যবহারে ত্বকের জেল্লা বাড়বে।
১০। নিয়মিত শাকসবজি ও শীতের ফল, সুপ ইত্যাদি খাবেন। এতে ত্বক কোমল ও সুন্দর থাকবে।
লেখিকা : সহযোগী অধ্যাপিকা, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।