সাগরে ঠেলে দেয়ার নীতির সমালোচনায় জাতিসংঘ

মাঝ সাগরে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ভাসতে থাকা প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম এবং বাংলাদেশির জীবন রক্ষায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিনটি দেশের সরকারের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার জাইদ রাদ আল হোসেইন। তিনি অভিযোগ করেন যে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ড এই অভিবাসীদের বহনকারী নৌকা সাগরে ঠেলে দেয়ার নীতি নিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান জাইদ রাদ আল হোসেইন
ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া যে কিছু অভিবাসীকে তীরে নামতে দিয়েছে, সেজন্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান এই দুই দেশের প্রশংসা করেন। কিন্তু একই সঙ্গে তারা যে অভিবাসীদের সাগরে ঠেলে দিচ্ছে তাতে এদের জীবন বিপন্ন হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
“থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া অভিবাসী বোঝাই এসব নৌকা সাগরে ঠেলে দিচ্ছে এবং এর ফলে অনেক মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। এদের জীবনকে আরও ঝুঁকির মুখে ঠেলে না দিয়ে আমাদের বরং উচিত তাদের জীবন রক্ষার দিকেই বেশি মনোযোগ দেয়া।
তিনি আরও বলেন, এই অভিবাসীরা যেখান থেকে যেভাবেই তাদের সীমান্তে এসে পৌঁছাক, তাদের অধিকারকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। এদেরকে অপরাধী বলে গণ্য করা এবং কারাবন্দী করা সমস্যার সমাধান নয়।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের হিসেব অনুযায়ী গত বছর মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ সাগর পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এবছরের মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৯২০ জন সাগরে ডুবে মারা গেছে।
সূত্রঃ বিবিসি

Exit mobile version