সালাহ উদ্দিনের কিডনিতে পাথর পাওয়া গেছে

মেঘালয়ের শিলংয়ে সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনের কিডনিতে পাথর পাওয়া গেছে। তার চিকিৎসক ডি জি গোস্বামী সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে চিকিৎসার জন্য সহকর্মীদের নিয়ে আজ আলোচনায় বসবেন গোস্বামী।

জানা গেছে, মঙ্গলবারও সালাহ উদ্দিনের কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। সেসব পরীক্ষার পর তার কিডনিতে পাথরের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।

ডা. গোস্বামী পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমদকে দেখতে গিয়েছি। তার চর্মরোগের চিকিৎসা দিতে সহকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। বুধবার অন্য দুই সহকর্মীকে নিয়ে তার স্বাস্থ্যগত বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে আলোচনায় বসতে পারি।’

এদিকে, সালাহ উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তৃতীয় দেশে নেয়ার যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমদ সেটা সম্ভব নাও হতে পারে। কেননা, মেঘালয় রাজ্যে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা থাকায় তা সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তিনি হয়তো শিলংয়ের বাইরে যাওয়ার অনুমতি পাবেন না।

শিলংয়ের সরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবীরা বলছেন, বিনা পাসপোর্টে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনারস অ্যাক্ট, ৪৬ অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বাইরে পাঠানোর সুযোগ নেই।

মঙ্গলবার স্বামীর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সাক্ষাৎ করেছেন হাসিনা আহমদ। এসময় সালাহ উদ্দিন ছেলে মেয়ের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন।

দুই মাস ‘নিখোঁজ’ থাকার পর ১১ মে শিলংয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদের খোঁজ পাওয়া যায়। সেখান থেকে তিনি স্ত্রী হাসিনা আহমদকে ফোন করেন। এর মধ্যদিয়ে সালাহ উদ্দিনের নিখোঁজ হওয়ার অবসান ঘটে। কিন্তু তিনি কিভাবে শিলং গেলেন তার রহস্য এখন পর্যন্ত উন্মোচিত হয়নি।

হাসপাতালে সালাউদ্দিন স্ত্রীকে জানান, তিনি স্বেচ্ছায় ভারতে ঢোকেননি, বরঞ্চ তার চোখ-হাত বেঁধে তাকে শিলংয়ে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

Exit mobile version