নওগাঁর সাপাহার উপজেলার হাপানিয়া সীমান্ত দিয়ে পার হয়ে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীদের ২২ রাখালকে আটক করেছে ভারতের বামনগোলা থানা পুলিশ।
ভারতীয় পুলিশের কাছে আটক বাংলাদেশি রাখালরা হলেন : সাপাহার উপজেলার রোদগ্রামের চারজনসহ পশ্চিম বিরামপুর গ্রামের দুরুল হকের ছেলে হেলাল (১৭), মফিজুল হকের ছেলে মতিলাল (১৪) চান মোহাম্মাদের ছেলে ফকির (৩৫), তসলিমের ছেলে দাউদ আলী (২১), লতিজুলের ছেলে বয়জুল (২৫), মোক্তার মিস্ত্রির ছেলে মনিরুল (৩৫), আলতাস আলীর ছেলে আওয়াল (১৮), লুৎফর রহমানের ছেলে ইস্রাফিল (২১), হাপানিয়া আদিবাসী পাড়ার দুরুল হকের ছেলে শাহ আলম (১৬), আদিবাসী বিরসার ছেলে অনিল (২০), সনোয়ার ছেলে দুলাল (১৭), রুবিয়ার ছেলে হরিমন (১৪), সুনীলের ছেলে ছবিলাল (১৪) কৃষ্ণসদা গ্রামের মোরশেদ ওরফে ঝাটুর ছেলে মাসুদ (২২), লালচানের ছেলে শাকির (১৬), খায়রুলের ছেলে হাবিল (১৮), ফজলুর রহমানের ছেলে ফারুক (২১) এবং হাপানিয়া শিয়ালমারি গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২)।
বিভিন্ন গরু ব্যাবসায়ী ও ভারত থেকে ফিরে আসা একাধিক রাখালদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় অর্ধশত রাখাল গরু আনতে গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাতের অন্ধকারে উপজেলার হাপানিয়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। পরদিন রবিবার ভোরে তারা গরু নিয়ে দেশে ফেরার সময় ওই এলাকার বিএসএফের কঠোর নজরদারি থাকায় অন্যরা সুযোগ বুঝে দেশে ফিরে আসতে পারলেও ওই ২২ রাখাল সীমান্ত পার হয়ে দেশে আসতে পারেননি।
একপর্যায়ে তারা পুনরায় আত্মগোপনের জন্য ভারতের অভ্যন্তরে ফিরে যান। এ সময় তারা ভারতের পাকুয়াহাট এলাকায় অবস্থান করলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতের বামনগোলা থানার পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাদেরকে আটক করে। এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের ওই ২২ রাখাল বর্তমানে ভারতের বামন গোলা থানা পুলিশের হেফাজতে ছিলেন বলে জানা গেছে। বিজিবি হাপানিয়া ক্যাম্প কমান্ডার মোফাজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।