পবিত্র ঈদ উল ফিতরে এবার প্রতিজনের জন্য ন্যূনতম ৬০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশেন(ইফা)। কেজি প্রতি আটার বাজার মূল্য ৩৫ টাকা ধরে (এক কেজি ৬৫০ গ্রাম)ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভা শেষে ইফার দ্বীনি ও দাওয়াহ বিভাগের পরিচালক এ এন এম সিরাজুল ইসলাম এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিশিষ্ট আলেম উলামা ও মুফতিদের নিয়ে গঠিত ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব প্রফেসর মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন অসুস্থ থাকায় কমিটির সদস্য সচিব এ এন এম সিরাজুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী ‘আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব’ এই পাঁচটি পণ্যের বাজারমূল্য ধরে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। একজন মুসলমান এ পাঁচটি পণ্যের যেকোনো একটি বা তার সমমূল্য ফিতরা হিসেবে প্রদান করতে পারবেন।
ইফার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যারা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করবেন তাদের এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৬০ টাকা আদায় করতে হবে। প্রতি কেজি আটার বাজার মূল্য ৩৫ টাকা ধরে এ হিসেব করা হয়েছে। গত বছর আটার উপর ফিতরা ধার্য ছিল ৬৫ টাকা।
খেজুর দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সমমূল্য ১৬৫০ টাকা দিতে হবে। বাজার মূল্য (মিডিয়াম) ৫০০ টাকা কেজি ধরে খেজুরের ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। গত বছর যা ছিল দুই হাজার টাকা।
এছাড়া একই পরিমাণ অর্থাৎ তিন কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিশ, পনির ও যব দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। কিংবা এসবের বাজার মূল্য দিয়েও ফিতরা আদায় করা যাবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবার কিসমিশের বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৩৬৫ টাকা ধরে এক হাজার দুইশ’ টাকা, পনিরের বাজার মূল্য ৪৮০ টাকা ধরে ১৬০০ টাকা এবং যবের বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৬০ টাকা ধরে দুইশ’ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। গত বছর কিসমিশ এক হাজার ৪৮৫ টাকা, পনির এক হাজার ৫৮৫ টাকা।
ইফার পরিচালক এ এন এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুসারে এসব পণ্যের যেকোনো একটি দিয়ে অথবা সমপরিমাণ দাম দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। তবে খুচরা বাজারে এসব পণ্যের দামে তারতম্য থাকতে পারে।
ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। নাবালক ছেলেমেয়ের পক্ষ থেকে বাবাকে এই ফিতরা দিতে হয়। আর তা দিতে হয় ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই।
ইফার পরিচালক এ এন এম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ফিতরা নির্ধারণ বৈঠকে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমদ, গওহর ডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম মুফতী মাওলানা রুহুল আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইয়েদ আব্দুল্লাহ আল মারুফ, কাদেরিয়া তৈয়বিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান,জামিয়া আরাবিয়া ফরিদাবাদ মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা মতিউর রহমান, ইফার ইসলামী বিশ্বকোষ বিভাগের পরিচালক ড. মাওলানা আব্দুস সালাম,ইফার প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক ড. মাওলানা আব্দুল জলীলসহ ১৪ জন আলেম উলামা ও ইফার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।