নাশকতার অভিযোগে পল্টন ও মতিঝিল থানায় পুলিশের দায়ের করা তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। ফখরুলের ক্রিমিনাল পিটিশন নাম্বার গুলো হলো- ২৯৩/১৫, ২৯৪/১৫, ২৯৫/১৫। আজ রবিবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে ফখরুলের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি হয় গত ২২ জুন। সেদিন এ আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ২৫ জুন দিন নির্ধারণ করে আদেশ দেন চেম্বার আদালত।
২৫ জুন শুনানির পর এটি পরবর্তী শুনানির জন্য ২৮ জুন দিন নির্ধারণ করেন আদালত। সে হিসেবে আজ আদেশ দেয়া হয়, আদেশে হাইকোর্টের জামিন আদেশ বহাল রাখা হয়। আজ আদালতে ফখরুলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন সোমবার ফখরুলের জামিন আবেদন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ । সে আবেদনের ওপর ২৫ জুন শুনানি করা হয়। বিএনপির এ নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোতে পুলিশের অভিযোগপত্র দাখিল না করা পর্যন্ত তার জামিনের মেয়াদ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। এর আগে গত ১৮ জুন বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আব্দুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ফখরুলকে এ তিন মামলায় জামিন দেন। গত ১২ এপ্রিল রোববার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন হাইকোর্টে মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিন আবেদনগুলো দাখিল করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পরিকল্পনা অনুযায়ী পল্টন এলাকায় হরতালের সময় গাড়ি ভাঙচুর করেন বিএনপির পিকেটাররা। এজন্য ফখরুল ইসলামসহ ২৪ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে পল্টন থানার পুলিশ। এছাড়াও নাশকতার কাজে উসকানি, প্ররোচনা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী পল্টন এলাকায় হরতালের মধ্যে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি মতিঝিল ও পল্টন থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করে পুলিশ। আর গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি একই রকম অভিযোগে পল্টন থানায় অপর দু’টি মামলা দায়ের করে পুলিশ।