ওয়ানডে ক্রিকেটকে ব্যাটসম্যানদের রান পাওয়ার স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলেছেন বাবর আজম কিংবা বিরাট কোহলিরা। আর এই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে এমন অনেক ব্যাটসম্যান আছেন, যারা কখনোই সেঞ্চুরির দেখা পাননি। তবে, নিজেদের দেশে তাঁরা সবাই কিংবদন্তি। অসংখ্য ম্যাচে তারা নেতৃত্ব দিয়েছেন দলের জয়ে।
তেমনই কয়েকজন ব্যাটসম্যানকে নিয়ে জিনিউজের এবারের আয়োজন।
সেঞ্চুরিবিহীন কিংবদন্তি ৬ ক্রিকেটার
মিসবাহ উল হক
সাবেক পাকিস্তানি সফল অধিনায়ক। ১৬২টি ওয়ানডে খেলেছেন, পাঁচ হাজারের বেশি রান করেছেন। গড়টাও মন্দ নয় – ৪৩.৪০। অথচ, কোনো সেঞ্চুরি নেই। তবে, হাফ-সেঞ্চুরি আছে ৪২টি।
২০১৩ সালে ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে করেন ৯৬ রান। সেটাই মিসবাহ’র ৫০ ওভারের ক্রিকেটে সেরা ইনিংস।
মাইকেল ভন
আধুনিক যুগে ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা অধিনায়ক হওয়ার পরও মাইকেল ভন ওয়ানডে ক্রিকেটে কোনো সেঞ্চুরি পাননি। ইংল্যান্ডের হয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৮৬ ম্যাচ খেলে তিনি করেন ১৯৮২ রান। তাতে ছিল ১৬টি হাফ সেঞ্চুরি। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়েতে করেন ৯০ রান। সেটাই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা।
হাবিবুল বাসার সুমন
প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে তিন হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। এই ফরম্যাটে তিন সেঞ্চুরি আছে তাঁর।
প্রথম টেস্ট জয়ের অধিনায়ক তিনি, ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বেই প্রথম পর্বের বাঁধা প্রথমবারের মতো টপকায় বাংলাদেশ।
তবে, ওয়ানডে ফরম্যাটে তাঁর ব্যাটিংটা যুৎসই ছিল না। ১৯৯৫ থেকে ২০০৭ – মোট ১২ বছর এই ফরম্যাটে মোট ১১১টি ম্যাচ খেলে করেন ২১৬৮ রান। গড় মাত্র ২১.৬৮। হাফ সেঞ্চুরি পান ১৪টি।
এখানেই শেষ নয়, তাঁর লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারেও কোনো সেঞ্চুরি নেই।
ডোয়াইন স্মিথ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টির ইতিহাসের এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান কখনো সেঞ্চুরি পাননি ওয়ানডেতে। ২০১৭ সালে অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আসলে ওয়ানডেতে স্থায়ী জায়গা পেতেই যথেষ্ট বেগ পেয়েছেন।
এই ফরম্যাটে ১০৫টি ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ১৫৬০, গড় মাত্র ১৮.৫৭। ভারতের বিপক্ষে দিল্লীতে ৯৭ রানের ইনিংসটাই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা। অথচ, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাঁচটা সেঞ্চুরি আছে তাঁর।
দিনেশ কার্তিক
তাঁর নাম এলেই প্রথমে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের কথা মাথায় আসে। ওয়ানডেতেও তাঁর অনবদ্য সব ইনিংস আছে। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফিতে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক।
যদিও, ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্বর্ণালী সময়টাতে মহেন্দ্র সিং ধোনি থাকায় ওয়ানডেতে খেলতেই পারেননি তামিল নাড়ুর এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ৯৪টি ওয়ানডে খেলে তিনি করেন ১৭৫২ রান। ৩০.২০ গড়। হাফ সেঞ্চুরি আছে নয়টি।
গ্রাহাম থর্প
ইংল্যান্ড দলের মেরুদণ্ড হিসেবে তিনি পরিচিত হলেও ওয়ানডেতে পরিসংখ্যান মোটেও আহামরি কিছু ছিল না গ্রাহাম থর্পের। ৮২ ম্যাচ খেলে ৩৮-এর মতো গড় দিয়ে করেন ২৩৮০ রান। ২১টি হাফ সেঞ্চুরি থাকলেও কোনো সেঞ্চুরি পাননি তিনি।