ইনিংসের দুইভাগে অস্ট্রেলিয়াকে কিছুটা চাপে ফেলেছিল ভারত। যা পরিণতি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার রানটা বিরাট উচ্চতায় উঠতে পারেনি। সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে যা খুবই স্বাভাবিক। তার বাইরে চিত্রনাট্য এগিয়েছে প্রত্যাশা মতোই। ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ানরা বড় স্কোর গড়েছে। সিডনিতে বৃহস্পতিবার স্টিভেন স্মিথের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ৩২৮ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। জয়ের জন্য ভারতের টার্গেট ৩২৯ রান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৫ রানেই এক উইকেট খুঁইয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (১২) যাদবের শিকার হন। দ্বিতীয় উইকেটে স্মিথ ও অ্যারন ফিঞ্চের জুটিতে ধীরে ধীরে ভারতীয় বোলারদের শাসনের পথে উঠে আসে স্বাগতিকরা। তারা দুজন ১৮২ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন। তিন নম্বরে ব্যাট হাতে আবারও দলের বিশ্বস্ততার প্রতীক হয়েছেন স্মিথ। তিনি তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। যা বিশ্বকাপে তার প্রথম সেঞ্চুরি।
৫৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি ও ৮৯ বলে ১০০ রান করেন স্মিথ। দ্বিতীয় উইকেটে ফিঞ্চের সঙ্গে ১৮২ রানের জুটি গড়েন তিনি। ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন যাদব। রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে স্মিথ ৯৩ বলে ১০৫ রানের (১১ চার, ২ ছয়) ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। সপ্তম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন অ্যারন ফিঞ্চও।শুরু থেকে একটু ধীরলয়ে খেলা ফিঞ্চের হাফ সেঞ্চুরি এসেছে ৮২ বলে।
ম্যাক্সওয়েলর ব্যাটিং ঝড় লম্বা হয়নি।দলীয় ২৩২ রানে ম্যাক্সওয়েল অশ্বিনের শিকার হন। তিনি ১৪ বলে ২৩ রান করেন। ১ রান পরই ফিঞ্চ ফিরেন যাদবের বলে। তিনি ১১৬ বলে ৮১ রান (৭ চার, ১ ছয়) করেন। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কও দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। সাড়ে তিনশো রানের সম্ভাবনা সেখানেই নষ্ট হয়। ক্লার্ক ১০ রান করেন। ওয়াটসন-ফকনারের ৩৬ রানের জুটিতে চাপ কাটায় স্বাগতিকরা।
ফকনার ১২ বলে ২১, ওয়াটসন ২৮ রান করেন। শেষ দিকে মিচেল জনসনের ঝড়ো ব্যাটিং ৯ বলে ২৭ রানের ক্যামিও হতাশ করে ভারতকে। যাদব ৪টি, মোহিত শর্মা ২টি উইকেট নেন।