রুবেল ইস্যুতে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী। তবে এখন আশঙ্কামুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন তিনি।
১১ তারিখ রাতে ঘুমের টেবলেট খেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে রাত ১০টার দিকে মিরপুর পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর সুচিকিৎসার কথা ভেবে একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করে। বিষয়টি নিশ্চত করেছে হ্যাপীর কাছের বান্ধবী মিশু। ভোর ৫টার দিকে হ্যাপীর অবস্থা স্বাভাবিক হলে হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
এদিকে গতকাল রাত ৮টা ২০ মিনিটে হ্যাপী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানেও আত্মহত্যার বিষয়ে প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি বড় দুর্ভাগা যে, শেষ কথাটাও তোমাকে বলতে পারলাম না। অনেক ভালোবাসি। কোনও ভুল করলে মাফ করে দিও। আম্মু-আব্বু তোমরা মাফ করে দিও। তোমাদের যোগ্য সন্তান হতে পারলাম না। আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছ। তোমাদের ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। এটা আমার শেষ স্ট্যাটাস।’
এদিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন রুবেল। এর প্রেক্ষিতে হ্যাপী গত বছর ১৫ই ডিসেম্বর মিরপুর থানায় একটি মামলা করেন। বর্তমানে জামিনে রয়েছেন রুবেল।