দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের যুবারা

86

আইসিসি যুব বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। কিন্তু শিরোপা ধরে রাখার মিশন কতটা কঠিন হবে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার যুবারা। প্রথম ম্যাচের পর আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও জিতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। প্রথম ম্যাচে তবু যা একটু লড়াই হয়েছিল। আজ একেবারে অসহায় আত্মসমর্পণ করল সফরকারীরা। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে নাজমুল হোসেন শান্তর দল জিতেছে ১৪০ রানের বড় ব্যবধানে।

মেহেদি হাসানের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া শান্তই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ব্যাট হাতে ৭৩ করার পর বল হাতে ২ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন।

অবশ্য বাংলাদেশের তোলা ৪ উইকেটে ২৫৯ রানের ইনিংসে সবচেয়ে বড় অবদান জাকির হাসানের। মুশফিকের যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেওয়া এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ৮৩ বলে সাতটি চার ও এক ছক্কায় করেছেন ৮১। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের স্লগ ওভারে তোলা ঝড়ও বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। সাইফ ২৭ বলে এক চার ও তিন ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে। জাকির-সাইফের পঞ্চম উইকেট জুটির অবিচ্ছিন্ন ৮০ রান ওভারে দশের ওপরে রান তুলেছে। এর আগেই জাকির শান্তর সঙ্গের গড়েন ১০৭ রানের জুটি। তাতেই বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশের তরুণেরা।

প্রোটিয়া যুবারা যে স্পিন একেবারেই খেলতে পারছে না, সেটা প্রথম ম্যাচেই বোঝা গিয়েছিল। আজ বাংলাদেশ দলেও রাখা হয়েছিল মাত্র একজন পেসার। সেই আবদুল হালিম ওপেনিং জুটি ভেঙে তাঁর দায়িত্বও পালন করেছেন। এর পর স্পিনারদের ভেলকি। ইনিংসের প্রায় মাঝপথেই বোঝা যায়, ম্যাচটা শেষ। ২৫.৫ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর যে ছিল ৬৯/৫! শেষ পর্যন্ত খোঁড়াতে খোঁড়াতেই ৪৩.২ ওভারে ১১৯ রানে অলআউট হয়েছে তারা।

বাঁ হাতি স্পিনার নিহাদুজ্জামান ২১ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অফস্পিনে ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন মোসাব্বেক। আরেক বাঁ হাতি স্পিনার সালেহ আহমেদ ২১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।