বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড।
মঙ্গলবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ৪৩ ওভারে ২৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে নিউজিল্যান্ড। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ ওভার শেষে কিউইদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৭২ রান।ব্যাট করছেন মার্টিন গাপটিল ও কেন উইলিয়ামসন।
মাত্র ২৬ বলে ৫৯ রান করে মরনে মরকেলের বলে বিদায় নিয়েছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করে বৃষ্টির কারণে ৪৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৫ উইকেটে ২৮১ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৪৩ ওভারে নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৯৮ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেছেন ফাফ ডু প্লেসিস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ৩৮ ওভার শেষে বৃষ্টির কারণে ২ ঘন্টা খেলা বন্ধ থাকে। ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে ৪৩ ওভারে নেমে এসেছে।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা প্রোটিয়াদের শুরুতেই বিপদে ফেলে দেন নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ২১ রানে ওপেনার হাশিম আমলাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান বোল্ট। ১৪ বল মোকাবিলা করে ২ চারে ১০ রান করেন আমলা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রোটিয়া শিবিরে আবার অাঘাত হানেন বোল্ট। এবার আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কককে টিম সাউদির ক্যাচে পরিণত করেন এই কিউই পেসার। ডি ককের সংগ্রহ ১৪ রান।
ডি ককের উইকেট নিয়ে রেকর্ড বুকে নাম লেখান বোল্ট। বিশ্বকাপের এক আসরে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ শিকারের রেকর্ড করেন তিনি। ডি ককের উইকেট নিয়ে অাসরে বোল্টের উইকেটসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১টি। এর আগে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২০ উইকেট নিয়েছিলেন জিওফ অ্যালট।
৩১ রানেই ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন ফাফ ডু প্লেসিস ও রিলে রুশো। ফিফটি রানের জুটি গড়ে দলকে ভালোই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দুজন। তবে রুশোকে ফিরিয়ে ৮৩ রানের জুটি ভাঙেন কোরি অ্যান্ডারসন। রুশোকে মার্টিন গাপটিলের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। ৫৩ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় রুশোর সংগ্রহ ৩৯ রান।
চতুর্থ উইকেটে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়ে তোলেন ফাফ ডু প্লেসিস। দুজনই ফিফটি তুলে নেন। ৩৮ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ যখন ৪ উইকেটে ২১৬ রান তখন বৃষ্টি হানা দেয় অকল্যান্ডে। বৃষ্টির কারণে ২ ঘন্টা খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে ৪৩ ওভারে নেমে আসে।
খেলা আবার শুরু হলে বিদায় নেন ডু প্লেসিস। কোরি অ্যান্ডারসনের বলে উইকেটরক্ষক লুক রনকির গ্লাভসবন্দি হন তিনি। ১০৭ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৮২ রান করেন ডু প্লেসিস। ডি ভিলিয়ার্স-ডু প্লেসিস জুটিতে আসে ১০৩ রান। এরপর দলীয় ২৭২ রানে ডেভিড মিলার বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৪৯ রান করে। তার মাত্র ১৮ বলের ঝোড়ো ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার মার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ডি ভিলিয়ার্স (৬৫) ও জেপি ডুমিনি (৮)।