টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলংকা। এবারের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে এটাই প্রথম খেলা। শুরুতেই চাপে শ্রীলংকা। পেরেরা ও দিলশান আ্উট।
শ্রীলংকা দলে একটি বড় পরিবর্তন হলো হেরাথের পরিবর্তে রহস্যময় স্পিনার থারিন্ডু কুশাল খেলছেন।
এ যাবত টুর্নামেন্টে সমস্ত ভালো-খারাপ কাজ মুছে গিয়ে নতুন করে শুরু হলো স্নায়ুর সঙ্গে সঙ্গে স্কিলেরও পরীক্ষা।
বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকানদের জন্য। বহু বছর ধরেই খুব-খুব ভালো একটা ক্রিকেট দেশ। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক কোনো সত্যিকারের বড় খেতাব সব সময় ওদের হাতছাড়া হয়েছে। এবং একটা অপ্রয়োজনীয় তকমা ওদের গায়ে সেঁটে দেওয়া হয়েছে। জীবনে অনেক সময় কোনো একটা কিছুকে মেনে নিতে পারলে সেটাই বৃহত্তর ক্ষেত্রে ওষুধের কাজ দেয়। থিতু হতে সাহায্য করে, যেখান থেকে নিজেকে নতুন রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ফেলার ব্যাপারে ঠেলা দেয়। দক্ষিণ আফ্রিকারও আজ সেই ভাবে শ্রীলঙ্কা কোয়ার্টার ফাইনালটা দেখা উচিত বলে মনে করে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
অন্য দিকে শ্রীলংকা দলে বড় টুর্নামেন্টের ক্রিকেটারে ভর্তি। তাদের মতো একটা ছোট দ্বীপরাষ্ট্রের কাছে এটা বিরাট সাফল্য যে একাধিক বার তারা কাপ ফাইনালে উঠেছে এবং একবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। আজও ওরা প্রোটিয়াদের জন্য তৈরি থাকবে এবং সিডনির মাঠের কন্ডিশন ওদের সেই কাজে সাহায্যও করতে পারে। দু’টো দলই এসসিজিতে এই টুর্নামেন্টে আগে খেলেছে এবং বিরাট ইনিংস গড়েছে। ফলে আরও একবার সেই কাজ করতে চাইবে আজ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে শক্তিশালী অস্ট্রেলীয় বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে এই মাঠে বড় রান করার আত্মবিশ্বাসটা থাকবে শ্রীলংকানেদের মধ্যে।