ইসরাইলের নিরাপত্তা বিষয়ক পরিষদ ও হামাস মিশরীয় মধ্যস্ততাকারীর সহায়তায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। শুক্রবার রাত ২:০০টা থেকে তা কার্যকর হয়েছে।
গত ১১ দিন ধরে চলা এই অসম যুদ্ধে ইসরাইলি বোমাবর্ষণে ৬৫ শিশুসহ ২৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর ইসরাইলে দুই শিশুসহ নিহত হয়েছে ১২ জন।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর একে বিজয় আখ্যা দিয়ে গাজার রাস্তায় নেমে উল্লাস করে ফিলিস্তিনিরা।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস জানায়, সিকিউরিটি ক্যাবিনেট সর্বসম্মতভাবে শর্তহীন একটি যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে মিসরীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার সুপারিশ করেছে।
আর ফিলিস্তিনি গ্রুপ হামাস ও ইসলামিক জিহাদ এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেছে।
হামাস কর্মকর্তারা বলছেন, তারা তাদের দুই শর্তের ব্যাপারে অনির্দিষ্ট ছাড় পেয়েছেন। যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তাদের দুই শর্ত ছিল শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করা যাবে না এবং আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে ইসরাইলি পুলিশের উপস্থিতি থাকতে পারবে না।
ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের দাবি সম্পূর্ণ ভুল।
যুদ্ধবিরতির খবর প্রকাশ হওয়ার পরপরই গাজায় নতুন করে ইসরালি বিমান হামলা হয়, ইসরাইলে রকেট নিক্ষিপ্ত হয়। এদিকে ইসরাইলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়ানে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সকল ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়। এতেই পরিস্থিতির নাজুকতা ফুটে ওঠে।
এমনকি যুদ্ধবিরতির মধ্যেও কোনো কিছু নির্ধারিত হয়নি।
আল জাজিরা, বিবিসি