কিছু আফগান মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিরে এসেছে। কিন্তু বড় মেয়েরা উদ্বিগ্ন প্রতীক্ষার মুখোমুখি। তারা কবে কখন মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্তরে তাদের পড়াশোনা পুনরায় শুরু করতে পারবে সে বিষয়ে কোনো স্পষ্টতা নেই।
মাত্র এক মাস আগে তালেবানরা শহর দখল করার পর থেকে রাজধানী কাবুলের অধিকাংশ স্কুল বন্ধ রয়েছে।
তালিবান কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো কট্টর নীতিতে তারা ফিরবেন না। ১৯৯৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালেবান শাসনামলে মেয়েদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ ছিল।
তারা এখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারবে কিন্তু শুধুমাত্র পৃথক শ্রেণীকক্ষে।
কাবুলের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক নাজিফ। তালেবান দখলের আগে তাদের ছেলে-মেয়ে মিশ্র শ্রেণীকক্ষ ছিল। তিনি জানান, তারা স্কুল চালু করার জন্য পরিবর্তন এনেছেন।
তিনি বলেন, “মেয়েরা সকালে এবং ছেলেরা বিকেলে পড়াশোনা করে।”
“পুরুষ শিক্ষকেরা ছেলেদের এবং মহিলা শিক্ষকেরা মেয়েদের পড়ান।”
মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে অনিশ্চয়তা
শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে, শীঘ্রই ছেলেদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলি আবার চালু হবে, কিন্তু মেয়েদের কথা উল্লেখ নেই।
স্কুলের মহিলা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন হাদিস রেজায়ি। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের মনোবল ভেঙে গেছে এবং তারা সরকারি ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছে। যাতে তারা আবার পড়াশোনা শুরু করতে পারে।”
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ শনিবার স্থানীয় বখতার বার্তা সংস্থাকে জানান, মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুনরায় খোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে কিন্তু তিনি তারিখ দেননি।
“মেয়েদের শিক্ষা একটি প্রজন্মকে ঠিক করে। ছেলেদের শিক্ষা একটি পরিবারকে প্রভাবিত করতে পারে কিন্তু মেয়েদের শিক্ষা সমাজকে প্রভাবিত করে,” বলছিলেন একটি স্কুলের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রেজা।
“আমরা বিষয়টিকে খুব ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, যাতে মেয়েরা তাদের শিক্ষা পুনরায় শুরু করতে পারে এবং তাদের পড়াশোনা সম্পন্ন করতে পারে।”
তথ্যসূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড