ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে কেন উদ্বিগ্ন ইসরাইল?

332
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে কেন উদ্বিগ্ন ইসরাইল?

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ইব্রাহিম রাইসি। ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগস্টে দায়িত্ব নেবেন তিনি। মাথায় কালো পাগড়ি ও ধর্মীয় পোশাক পরেন। কট্টর রক্ষণশীল বলে পরিচিত। কঠোর জীবনযাপনে অভ্যস্ত।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবসময় সোচ্চার তিনি। রাইসি ইরানের রাজনীতিতে চটকদারিত্বের জন্য বিখ্যাত নন। বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দেশের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জনপ্রিয় প্রচারের জন্য সুপরিচিত তিনি।

লেখাটিতে যা আছে.... লুকিয়ে রাখুন

রাইসিকে নিয়ে ইসরাইলের উদ্বেগ

৬০ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসরাইল।

ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হাইয়াত বলেছেন, ইরানের সবচেয়ে উগ্রপন্থী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ইব্রাহিম রাইসি। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট দেশটির পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করবেন। ইরানের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও তার নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুতর উদ্বেগ জানানো উচিত।

জয়ের পর যা বলেন রাইসি

জয়ের পর দেওয়া বিবৃতিতে রাইসি বলেছেন, তিনি পুরো জাতির নেতা হবেন। সরকারের ওপর জনগণের বিশ্বাস জোরদার করতে তিনি পদক্ষেপ নেবেন। তিনি ইরানে একটি কঠোর পরিশ্রমী, বিপ্লবী ও দুর্নীতিবিরোধী সরকার গঠন করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতির সমর্থক রাইসি

দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা  আয়াতুল্লাহ আলী  খামেনির যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতির সমর্থন করেন রাইসি। খামেনির মতো তিনি পশ্চিমাদের সঙ্গে গভীর সম্পর্কের বিরোধী।

তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র আস্থা রাখার মতো দেশ নয়। দেশটির অবরোধ তুলে ফেলার ওপর ইরানের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান নিহিত নয়। বরং স্বনির্ভর ও স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহ জোগানোর মধ্য দিয়ে ‘প্রতিরোধমূলক অর্থনীতি’ দাঁড় করানোই বেশি জরুরি।

রাইসির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

কয়েক দশক আগে রাজনৈতিক বন্দিদের হত্যার ঘটনায় তিনি জড়িত এমন সন্দেহে  দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তার বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে আরেকটি পাতানো নির্বাচনের সময় গণতন্ত্রপন্থী সবুজ আন্দোলন দমন-অভিযানে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করা রাইসি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা ইরানিদের একজন।

যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে ১৯৮৮ সালে তেহরানের ডেপুটি প্রসিকিউটর জেনারেল থাকার সময় ডেথ কমিশনের সদস্য হিসেবে হাজারো রাজবন্দীর বিচারবর্হিভূত মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনে।

ইব্রাহিম রাইসি : ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট

খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি রাইসি

ইরানের সর্বোচ্চ ধমীয় নেতা খামেনির ধর্মীয় উপদেষ্টা দলের কৌশল অস্পষ্ট ও অননুমেয়।

কারও কারও ধারণা, সামনের মাসে ৮২ বছরে পা দিতে যাওয়া খামেনি নিজের উত্তরসূরি হিসেবে রাইসিকে গড়ে তুলছেন।

সমালোচকদের ভাষ্য, রাইসিকে জেতানোর জন্য তার শক্ত প্রতিপক্ষদের নির্বাচনে দাঁড়াতে দেননি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

ইসরাইল-ইরান সম্পর্কে প্রভাব

ইরানের ইব্রাহিম রাইসির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে তেহরান এবং ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক পরিবর্তনের যেকোনো সম্ভাবনা আপাতত বন্ধ হয়ে গেল।

এমনিতে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে তীব্র বৈরিতার সম্পর্ক বিদ্যমান। উভয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে আসছে বলে প্রচলিত আছে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াকু রাইসি

ইব্রাহিম রাইসি নিজেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং ইরানের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের যোগ্য ব্যক্তি হিসাবে উপস্থাপন করেছেন। নির্বাচনী প্রচারণায়ও রক্ষণশীল ভোটারদের কাছে দুর্নীতি দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর এই প্রচার কাজে এসেছে। এর ফলও পেয়েছেন তিনি।

হামাসের প্রশংসা করেন রাইসি

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে ইসরাইলকে কিভাবে দেখে নতুন প্রেসিডেন্ট। এই ব্যাপারে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া যায়। ইতোপূর্বে তার করা মন্তব্য থেকে সহজেই বোঝা যায় ইসরাইলের ব্যাপারে সর্বদা আপসহীন থাকবেন রাইসি।

২০২১ সালের মে মাসে এক বক্তব্যে গাজায় ইসরাইলি বোমা বর্ষণের সময় ইরানের নব-নির্বাচিত প্রেসিডন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইহুদিদের বিরুদ্ধে লড়ায়ের জন্য হামাসের প্রশংসা করেছিলেন। সে সময় তিনি ইসরাইলের দখলদারিত্ব থেকে জেরুজালেমের স্বাধীনতা চেয়ে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনিদের বীরোচিত প্রতিরোধ আবারও দখলদার ইহুদিদের পিছু হটতে বাধ্য করেছে। এটাকে তিনি পবিত্র জেরুসালেম স্বাধীন হওয়ার আরেকটি ধাপ বলে উল্লেখ করেছিলেন।

রাইসি আরও বলেছিলেন, গাজায় ফিলিস্তিনিদের যুবকদের প্রতিরোধ মুসলিম এবং আরব উম্মাহর জন্য ব্যাপক জয় বয়ে এনেছে। এটা মুসলিম এবং বিশ্বে স্বাধীনতাকামীদের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য যে সব সরকার প্রতিযোগিতা করছে ফিলিস্তিনি তরুণদের প্রতিরোধ তাদেরকে লজ্জিত করেছে।

উদারীকরণ চান না রাইসি

ছয় জাতির পারমাণবিক চুক্তি পুর্নবহাল হলেও পশ্চিমা প্রভাবে ইরানে অস্থিতিশীলতা থাকবে। নির্বাচনে রাইসির জয় দেশটির উদারীকরণের পথে বড় বাধা হয়ে আসতে পারে। আর ইরান আরও বেশি রক্ষণশীল হয়ে উঠতে পারে।

রাইসির অধীনে কট্টরপন্থীরা ইসলামি অনুশাসন মেনে সরকার পরিচালনার ব্যাপারে আরও কঠোর হবেন; যার অর্থ সামাজিক কার্যক্রমের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ, নারীদের কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতা কমে যাওয়া এবং সংবাদমাধ্যমসহ সামাজিক মাধ্যমের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে।

রাইসির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

১৯৮০-এর দশকে রাজনৈতিক বন্দিদের যেভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সেই গণ-মৃত্যুদণ্ডে তাতে রাইসির ভূমিকা নিয়ে বহু ইরানি এবং মানবাধিকারকর্মী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

১৯৮৮ সালে তেহরানের বিপ্লবী আদালত বামপন্থী ও অন্যান্য ভিন্নমতাবলম্বী রাজনৈতিকদের গণ-মৃত্যুদণ্ড দেয়। ওই আদালতের ডেপুটি প্রসিকিউটর ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। সেসময় প্রায় ৫ হাজার রাজনৈতিক বন্দীকে হত্যার অভিযোগ আছে ওই ডেথ কমিশনের বিরুদ্ধে।

২০১৯ সালে দেশব্যাপী আন্দোলনের পর বেআইনিভাবে শত শত পুরুষ, নারী এবং শিশুদের হত্যা এবং হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে দোষী সাব্যস্ত করে আটক করে ইরানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর এসব অপরাধকে বিচারপতি হিসেবে দায়মুক্তি দিয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি।

ইরানের বিচারবিভাগের প্রধান হিসেবে ইব্রাহিম রাইসি মানবাধিকারের উপর খড়গহস্ত হন। তিনি শত শত শান্তিপূর্ণ ভিন্নমতাবলম্বী, মানবাধিকার কর্মী ও নিপীড়িত সংখ্যালঘুকে নির্বিচারে আটক করেছেন।

পশ্চিমাদের টক্কর দিবেন রাইসি

পশ্চিমাদের টক্কর দিতে ও অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত দেশকে পুনরুদ্ধারে রাইসির বিকল্প নেই বলে মনে করেন তার সমর্থকেরা। রাইসি ইরানের রাজনীতিতে চটকদারিত্বের জন্য বিখ্যাত নন। বরং বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দেশের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জনপ্রিয় প্রচারের জন্য সুপরিচিত তিনি।

 নির্বাচনি প্রচারে রাইসির অঙ্গীকার

নির্বাচনি প্রচারে রাইসি অঙ্গীকার করেছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার লড়াই জারি থাকবে। নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য ৪০ লাখ ঘর নির্মাণ ও ‘শক্তিশালী ইরানের জন্য জনগণের সরকার’ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

রুহানির বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি মানেন না

২০১৮ সালে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ইরানের অন্যান্য রক্ষণশীলদের মতো রুহানি শিবিরের কড়া সমালোচনা করেন রাইসি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি রুহানির শান্তিপ্রয়াসী বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি মানেননি তিনি।

পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে পারেন রাইসি

রাইসি মনে করেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তোরণে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার দরকার রয়েছে। রাইসি এবং সর্বোচ্চ নেতা খামেনি উভয়েই পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তিতে ফিরে যেতে আগ্রহী বলে ধারণা করা হয়।

রাইসির জন্ম থেকে বর্তমান

ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পবিত্র শহর মাশহাদে ১৯৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন রাইসি। তরুণ বয়সেই উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি হয় তার।

১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত রাজতন্ত্রকে ক্ষমতাচ্যুত করে ইরানের ইসলামিক বিপ্লব। সে সময় রাইসির বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। রাজধানী তেহরানের উপকণ্ঠে আলবোর্জ প্রদেশের রাজধানী খারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান রাইসি।

১৯৮৮ সালে মার্ক্সবাদী ও বামপন্থিদের গণফাঁসির ঘটনায় অবধারিতভাবেই রাইসির নাম নেন অধিকার সংগঠন ও ইরান থেকে নির্বাসিত বিরোধী মতাবলম্বী ব্যক্তিরা। রাইসি সে সময় তেহরানের রেভ্যুলুশনারি কোর্টের ডেপুটি প্রসিকিউটর ছিলেন।

২০১৮ সালে এমনকি গত বছরও রাজবন্দিদের গণফাঁসির বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে রাইসি তার সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেন। আশির দশকের গণফাঁসি ও পরবর্তী সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে রাইসিসহ কয়েকজনের ওপর ২০১৯ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

রাইসির বিচারিক অভিজ্ঞতা কয়েক দশকের। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেল ছিলেন তিনি। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উপপ্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন রাইসি। ২০১৪ সালেই ন্যাশনাল প্রসিকিউটর-জেনারেল হন তিনি।

সর্বোচ্চ নেতা খামেনির অধীনে ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামিক আইনশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি।

২০১৬ সালে রাইসিকে একটি দাতব্য সংস্থার প্রধান করেন খামেনি। সংস্থাটি মাশহাদ শহরের ইমাম রেজার মাজার পরিচালনার পাশাপাশি ইরানের বড় শিল্পও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

তিন বছর পর ২০১৯ সালে রাইসিকে ইরানের প্রধান বিচারপতি করেন খামেনি। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা মনোনয়ন দেয়া বিশেষজ্ঞ কমিটিরও সদস্য রাইসি।

তেহরানের শাহিদ-বেহেশ্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জামিলেহ আলামোলহোদাকে বিয়ে করেন রাইসি। তাদের দুটি মেয়ে আছে।

রাইসিকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের অভিনন্দন

নির্বাচনে রাইসির অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান আব্দুল নাসে হেম্মতি।

এক চিঠিতে তিনি সরাসরি রাইসিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আশা করি সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির অধীনে আপনার প্রশাসন ইরানকে গর্বিত করবে, জীবনমানের উন্নতি ঘটাবে এবং জাতির মঙ্গল ও কল্যাণ নিশ্চিত করবে।

বিচারপতি রাইসিকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগাম অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীরাও।

রাইসির বিরুদ্ধে অ্যামনেস্টির বিবৃতি

ইরানে সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করে বিবৃতি দিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

১৯ জুন অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়, ইব্রাহিম রাইসি হত্যা, নির্যাতন ও গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ইব্রাহিম রাইসি হত্যা, গুম, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে তিনি প্রেসিডেন্ট হলেন। এটি আবারও মনে করিয়ে দেয় যে, ইরানে দায়মুক্তির শাসন চলছে।

তথ্যসূত্র

  • দ্য ইকোনমিস্ট
  • আল জাজিরা
  • মিডল ইস্ট আই
  • এএফপি
  • বিবিসি