ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদকে গ্রেফতার করেছে দেশটির সরকার। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল এ কথা জানিয়েছে।
ডেইলি মেইল সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইরানে চলমান বিক্ষোভের ঘটনায় ইন্ধন দেয়ার অভিযোগ এনে সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই বিক্ষোভে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আল-আরাবিয়া জানায়, ইরানের বুশেহর শহরে আহমেদিনেজাদের দেয়া এক বক্তব্যে বিক্ষোভে উসকানির অভিযোগে তাকে শিরাজ শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তেহরানে ‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে আল-কুদস আল-আরাবি জানায়, আহমেদিনেজাদকে গৃহবন্দী করতে কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অনুমোদনের অপোক্ষায় আছে।
আহমেদিনেজাদ ইরানের বর্তমান সরকার এবং প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির তীব্র সমালোচক। বর্তমান সরকার এর আগে আহমেদিনেজাদের বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে মূলত দুর্নীতির অভিযোগ ছিল।
গত ৩০ ডিসেম্বরের বক্তৃতার জন্য এবার আহমেদিনেজাদকে গ্রেফতার করা হয়ে থাকতে পারে। তিনি ওই বক্তৃতায় বলেছিলেন, দেশের বর্তমান নেতৃত্ব জনগণেল সমস্যা ও উদ্বেগ থেকে বিচ্ছিন্ন। তারা সমাজের বাস্তবতা সম্পর্কে জানে না।
এ দিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি এবং দেশের অতিমাত্রায় পররাষ্ট্রনীতিনির্ভর ভূমিকার প্রতিবাদে গত ১১ দিন ধরে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত এবং কয়েক হাজার গ্রেফতার হয়েছেন।
তবে গত চার দিন সরকারের সমর্থনে টানা বড় ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হওয়ায় ওই বিক্ষোভ কমে এসেছে। বিক্ষোভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মদদ এবং সৌদি আরবের আর্থিক প্রলোভনকে দায়ী করে আসছেন ইরানি নেতারা।
গত ডিসেম্বরে বুশেহর শহরে এক বক্তৃতায় আহমেদিনেজাদ বলেছেন, ‘ইরানে অব্যবস্থাপনা চলছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এবং তার সরকার বিশ্বাস করে, তারা ভূখণ্ড জয় করেছে আর জনগণ হলো বঞ্চিত সমাজ।’ তিনি বলেন, ‘কয়েকজন বর্তমান নেতা জনগণের সমস্যা এ উদ্বেগ থেকে বিচ্ছিন্ন। তারা সমাজের বাস্তবতা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।’