পুলিশের নির্যাতনের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল সিসি। একইসঙ্গে এ ধরনের নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
কায়রোতে সেনাবাহিনী দিয়ে কট্টরপন্থি মুসলিম ব্রাদারহুডের শ’ শ’ কর্মীকে হত্যা করে ক্ষমতা নেওয়ার প্রথম বার্ষিকীতে এ ক্ষমা প্রার্থনা করলেন সিসি।
রোববার (৭ জুন) প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম বর্ষপূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিসি বলেন, নির্যাতনের শিকার প্রত্যেক মিশরীয় নাগরিকের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। মিশরের নাগরিকদের সঙ্গে এমন কিছু ঘটলে আমাকেও জবাবদিহি করতে হবে।
তবে, জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কোনো পরিকল্পনার কথা জানাননি সাবেক সেনাপ্রধান সিসি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত সপ্তাহে পুলিশের হাতে একজন আইনজীবী নির্যাতিত হওয়ায় দেশব্যাপী একদিনের ধর্মঘট ডাকেন আইনজীবীরা। এ নিয়ে প্রায় বছর দেড়েক পর আবারও উত্তাল হয়ে ওঠে মিশর।
আইনজীবীদের ঐক্যে সরকারের টনক নড়ে ওঠায় বিশেষ ভাষণে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন সিসি। তিনি বলেন, আমি পুলিশ ও যে কোনো রাষ্ট্রীয় সংস্থায় কর্মরত আমাদের সন্তানদের বলতে চাই, তোমাদের মনে রাখতে হবে, তোমরা মানুষের জন্য কাজ করছো।
২০১৩ সালের ৩ জুলাই দেশব্যাপী বিক্ষোভের মুখে সেনাঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান মুরসি। ব্রাদারহুডের নেতা মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ওই দলের কর্মীরা মাঠে নামলে তাদের কঠোরভাবে দমন করেন সেনাপ্রধান মুরসি। এসময় কয়েক দফায় শ’ শ’ ব্রাদারহুডকর্মীকে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার পর ক্ষমতা নেওয়া সিসির এ ক্ষমা প্রার্থনায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।